পিরোজপুর প্রতিনিধি:

দীর্ঘ পনের বছর আওমীলীগের আদলে নানা সুবিধা নিয়ে নিমেষেই বোল পাল্টে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদি সরকার বলে আখ্যায়িত করলেন এক শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম মো: আতিকুর রহমান। তিনি নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিন্না গ্রামের বাসিন্দা। আতিকুর রহমান উপজেলার পশ্চিম সোহাগদল শহিদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক হলেও বেশিরভাগ সময়ে ক্লাশ ফাকি দিয়ে দিনের পর দিন সরব থেকেছেন দলীয় মিটিং মিছিলে। আতিকুর রহমান বলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বড় কোন পদ-পদবিধারি নেতা না হয়েও সামন্য একটি সদস্য পদ ভাগিয়ে এলাকায় ছিল তার বিস্তর প্রভাব। ক্ষমতার পালা বদলে সেই শিক্ষক আতিকুর রহমান এবার ইউনিয়ন বিএনপিতে যোগদানে জোড় চেষ্টা চালাচ্ছেন। এলক্ষ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর তিনি বিন্না গ্রামের বিএনপি অফিসে উত্তলন করেন জাতীয় পতাকা। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

গ্রামের সক্রিয় একজন আওয়ামীলীগ সদস্য রাতারাতি বিএনপিতে মনোনিবাস করার কারন জানতে চাইলে, ইউপি সদস্য মো: বাবুল হোসেন বলেন, আতিকুর রহমান মুলত একজন আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। দলীয় মিটিং মিছিল সহ দলের সব ধরনের কর্মকান্ডে ছিল তার অবাধ দৌরাত্ম। তিনি বলেন, শিক্ষক আতিকুর রহমান মুলত ইউনিয়নের বিন্না গ্রামের ইংমেনস ক্লাবের সভাপতি। ওই ক্লাবে বর্তমান সদস্যর সংখ্যা সাতশত। তারা বছরে জনপ্রতি দুইশত চল্লিশ টাকা করে চাদা দেয়। এছাড়াও ওই ক্লাবের নিজস্ব জমিতে বাজারে বিশটি ভিটি দোকান রয়েছে। যে বিশটি দোকান থেকে বছরে পাচ লাখ টাকা ভাড়া আসে। এমনকি সামাজিক সংগঠনের নামে এই ক্লাবে প্রতি বছর আসে সরকারি আর্থিক অনুদান। ক্লাবের পদ ধরে রাখতে তিনি এখন হয়তো রাতারাতি বিএনপি হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

অনেকটা একই কথা বলেন, ওই গ্রামের মো: সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি নিজে ওই ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচন করেছি। তবে ক্লাবের বর্তমান সভাপতি ইউনিয়নের একজন সক্রিয় আওয়ামীলীগ কর্মী। ক্ষমতার পালা বদলে রাতারাতি তার বিএনপি হওয়ার চেষ্টা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে ১নং বলদিয়া ইউনিয়নের বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক মো: মুহিবুল্লাহ বলেন, আতিকুর রহমান জাতীয় পার্টি (জেপি) সভাপতি ছিলেন। জেপি আওয়ামীলীগের সাথে জোটে ছিলো। সেই দিক থেকে আওয়ামিলীগের সাথে কাজ করেছে। তবে, এখনো সে বিএনপিতে যোগদান করেনি। কেবলমাত্র আমাদের সাথে সে কাজ করে।

এ বিষয়ে আতিকুর রহমান বলেন, আমি বিন্না ইংমেনস ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি। আমার অনেক শত্রু রয়েছে। আমি আওয়ামীলীগ করি একথা সত্য। এখন পূনরায় নিয়মভাবে ক্লাবের নির্বাচন দিব। অনেকে চাচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। সেই ভিন্নভাবে নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদি হাসিনা সরকারের মত হবে। এতে মানুষ খারাপ বলবে।