মোঃনাজমুল মোরেলগঞ্জঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করায় ৫ জন ব্যাবসায়ীকে ঊনচল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)ভোরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃনাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।এতে মোরেলগঞ্জের পৌর এলাকার বিভিন্ন কসাইখানায় পশু জবাইকারীদের লাইসেন্স না থাকা, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই প্রভৃতি অপরাধে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ অনুযায়ী,মাংস ব্যাবসায়ী এছাহাক হাওলাদার (৫৫)কে ৪০০০ টাকা, মোঃ হেলাল (৪০)কে ১০,০০০ টাকা,তাছেন উদ্দিন বেপারী (৬০)কে ৫০০০টাকা,মোঃখোকন হাং(৪৫)কে ১০,০০০টাকা ও মোঃ হারুন শেখ (৫০)কে ১০,০০০ টাকা করে মোট ৫জন মাংস বিক্রেতাকে ঊনচল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু মাংস পট্টি ও পশু জবাইখানা রয়েছে।চরম অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে এই মাংস বাজারগুলো বসে। মাংস বাজারের পাশেই পশু জবাই করা হয়।পশু জবাইয়ের পরে যে সব বর্জ্য তৈরি হয় তার সবই পাশে স্তুপ করে রাখা হয়।পনেরো থেকে একমাসের মধ্যে একবার করে এইসব নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য অপসারণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ।কিন্তু প্রতিদিনই পশু জবাই দেওয়ার কারণে অনেক বেশি পরিমাণে বর্জ্য স্তুপ আকারে জমা হয় এই মাংসের বাজারের পাশে। ফলে সাধারণ মানুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই ময়লা আবর্জনার স্তুপের পাশেই মাংস কিনতে যায়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে অনেক বৃদ্ধ ও শিশুরা।ক্রেতারা জানান, মাংসের বাজারে এতটোই দুর্গন্ধ যে- দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতেই দম বন্ধ হয়ে আসে। এ অবস্থার কারণে বাধ্য না হলে খুব বেশি মাংস বাজারে কেউ যান না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেখানে বেশি আসতে হয় সেদিকে পৌর কর্তৃপক্ষের বেশি নজর দেওয়া উচিত।আজকের এই অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় আমরা সাধারণ মানুষ বেশ খুশি।আশাকরি ভবিষ্যতেও উপজেলা প্রসাশনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে মোঃ নাজমুল ইসলাম জানান, মোরেলগঞ্জে যারা গরু জবাই এবং বিক্রি করে তাদের নামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস জবাই,সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার অভিযোগ আসে এবং অভিযোগের সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ৫ জন মাংস জবাইকারী ও বিক্রেতাকে মোট ঊনচল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে।অবশ্যই সকল পশু জবাইকারীর লাইসেন্স থাকতে হবে,সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রি করতে হবে।