1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
নওগাঁ মিনি কক্সবাজার খ্যাত হাঁসাইগাড়ী বিলে এখন পর্যটকের হাতছানি দৃশ্যোর দেখা মেলে - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জগন্নাথপুরে গলায় ফাস দিয়ে গৃহ বধুর মৃত্যু, মর দেহ উদ্ধার নিম্নচাপের প্রভাবে দুমকিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বাড়তে পারে শীত নাসিরনগরে মোক্তার ব্রিক ফিল্ডকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শীতার্তদের পাশে তারুণ্যের বাংলাদেশ যুব সংস্থা করণদোষী ডান্স একাডেমীর ২তম বাৎসরিক অনুষ্ঠান ২০২৪, রোটারী সদনে অনুষ্ঠিত হলো রাণীশংকৈলে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা সহ ১ জন আটক গাইবান্ধায় জাসাসের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী বগুড়ায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ লোহাগাড়া উপজেলায়(সিআরবি) ভোক্তা অধিকারের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ডিমলায় এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁ মিনি কক্সবাজার খ্যাত হাঁসাইগাড়ী বিলে এখন পর্যটকের হাতছানি দৃশ্যোর দেখা মেলে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ

পানির ঢেউয়ের শব্দ আর সূর্যাস্তের সময় আকাশের লাল আভা পানিতে পড়তেই রক্তিম হয়ে ওঠে চারপাশ। নয়নাভিরাম এই দৃশ্যের দেখা মেলে হাঁসাইগাড়ী বিলে। বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা সড়ক। নির্মল বাতাস আর লাল শাপলা দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। এখানে সময় কাটাতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। নওগাঁ জেলা শহর থেকে সড়ক পথে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ ও পশ্চিমে গেলে দেখা মিলবে হাঁসাইগাড়ী বিলের। শহরের গোস্তহাটির মোড় থেকে যে কোনো যানবাহনে চড়ে সেখানে যাওয়া যায়। নওগাঁ সদর উপজেলায় অবস্থিত হাঁসাইগাড়ী বিল। এ উপজেলার দুই ইউনিয়ন হাঁসাইগাড়ী ও শিকারপুর অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা। এ বিলে বছরে অর্ধেকের বেশি সময় পানি থাকে। এ বিলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেকের জীবন জীবিকা। প্রতিনিয়ত দূরদূরান্ত থেকে এখানে ঘুরতে আসেন বিনোদনপ্রেমীরা। আবার শুষ্ক মৌসুমে চলে ইরি- বোরোসহ বিভিন্ন রবিশস্যের আবাদ। তবে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে এ স্থানটি পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি পাবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে। শিকারপুর ইউনিয়নের খামারবাড়ি মোড় থেকে হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কাটখৈইর বাজারের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে গুটার বিলের মাঝ দিয়ে যাওয়া এ ৬ কিলোমিটার (হাঁসাইগাড়ী, হামরা পাড়া, ভুতলিয়া এবং কাটখৈইর) পথে মানুষের জীবন-যাপন ছিল কষ্টের। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য নওগাঁর কৃতিসন্তান মরহুম আব্দুল জলিলের স্বপ্ন ছিলো রাস্তা তৈরি করাসহ পাকাকরণ করে তার নির্বাচনি এলাকার মানুষের যোগাযোগসহ জীবন-যাপন সহজ করা। ২০১০ সালে প্রায় ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। রাস্তাটি শিকারপুর এবং হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন ইউনিয়নের সংযোগ হয়। তারপর থেকে এ এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা পরিবর্তন হতে থাকে। রাস্তাটি হওয়ার পর বিলের পাশে থাকা গ্রামের নাম অনুসারে বর্তমানে এ বিলটি হাঁসাইগাড়ী বিল নামে পরিচিত পেয়েছে। রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকেই এ বিলের অবারিত সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়। বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা সড়ক বর্ষায় নয়না ভিরাম দৃশ্য। আবার শুষ্ক মৌসুমে সড়কের দুইপাশে সবুজ ধানের ক্ষেত সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। সারা বছরই এখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকে। প্রতি বছর বর্ষায় এ বিলে পানিতে থাকে টইটম্বুর। বাতাসে ঢেউ সড়কে এসে আছড়ে পড়ে। এ যেন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বিলের রুপালী জলের অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করাই নয়, ব্যবস্থা রয়েছে নৌকা ভ্রমণেও। সূর্যাস্তের সময় পশ্চিম আকাশের লাল আভা পানিতে পড়ায় সৃষ্টি হয় নয়নাভিরাম দৃশ্যের। বছরে প্রায় ৬ মাস পানি থাকে এ বিলে।স্থানীয়দের কাছে এটি মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত। বাড়তি আনন্দ পেতে শ্যালোমেশিন চালিত নৌকা নিয়ে ঘুরেন পর্যটকরা। অন্তত ২০০টি নৌকা রয়েছে এ বিলে। শুষ্ক মৌসুমে তারা অন্য পেশায় চলে যান। এ বিল কেন্দ্র করে নৌকা মাঝি ও ক্ষুদ্র দোকানি মিলে অন্তত ২৫০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এদিকে বিলকে কেন্দ্র করে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের জন্য এ বছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেলফি কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। বিনোদন শেষে দর্শনার্থীরা ভ্রাম্যমান খাবারের দোকানে মুখরোচক অন্যান্য খাবার উপভোগ করেন। নেই ভাল কোন রেস্টুরেন্টে। একটি নলকুপ ও টয়লেট থাকলেও যা পর্যাপ্ত নয়। তারপরও প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন। তবে ছুটির দিনগুলোতো অন্তত ৫-৬ হাজার দর্শনার্থী হয়ে থাকে। এ বিলের আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২০০ হেক্টর। বিলের পানি কমে গেলে চাষাবাদ হয় ইরি-বোরো ধান। একটি মাত্র ফসলে চলে সারা বছরের ভর

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি