আজ ১৯শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল সাড়ে চারটায়, পার্ক স্ট্রীট সংলগ্ন, অ্যালেন পার্ক চার্চের শুভ সূচনা করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল বড়দিন উৎসব, জ্বলে উঠল সারা রাস্তায় আলোর রোশনাই,
আজকের শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা মহানগরীক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সুব্রত বক্সী, সন্দীপ বক্সী, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন চার্চের ফাদার ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ,
শুভ সূচনা পর সকল অতিথি বৃন্দকে সম্বর্ধনা জানান, এবং মঞ্চে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নৃত্য পরিবেশন করেন, জেসাস খ্রীষ্ট স্মরণ করেই তাদের এই নৃত্য পরিবেশিত হয় এবং মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন দুটি সংগীত পরিবেশন করেন,
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, মাননীয় মন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথি বৃন্দরা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, পঁচিশে ডিসেম্বর মানেই বড়দিন, বাঙালী থেকে সর্ব ধর্মের মানুষ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মেতে উঠবে বড়দিনে, এতে উঠবে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, ভীর জমাবে বিভিন্ন রাস্তা ও বিভিন্ন চার্চে, আজ থেকে এই সেজে উঠবে বিভিন্ন চার্চে রাস্তা এবং চার্চ গুলি, চার্চে ঘুরে বেড়াবে শান্তা তার জিনিসপত্র নিয়ে,
আর বড়দিন মানেই, বাঙ্গালীদের কাছে কেক খাওয়া একটা আলাদা উৎসাহ, ঘরে ঘরে কেক কেনার ধুম, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা নতুন জামা প্যান্টে সেজে উঠবে চার্জগুলিতে। চলবে কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন অনুষ্ঠান,
আজ শুভ সূচনার আগে থেকেই প্রশাসনের তরফ থেকে করা নিরাপত্তা বলয় ঘেরা, মাঝে মাঝেই অফিসারদের আনাগোনা এবং তদারকি, সারা পার্ক স্টীট মুখ থেকে শুরু করে অ্যালেন পার্কে চতুর্দিকে প্রশাসনের করা বিষ্টনি, জাতে কোনরকম অঘটন না ঘটে, তিনটে থেকেই শুরু হয়ে যায় তোরজোর একে একে বিভিন্ন মন্ত্রী আসতে থাকেন পার্কে,
সবশেষে একটা কথাই জানালেন , সর্ব ধর্মের মানুষ আনন্দে মেতে উঠুক, কিন্তু নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না , সাবধানে চলাফেরা করবেন নিজেদের সতর্ক রাখবেন। এবং সকল দর্শনার্থীদের শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানালেন।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ)