মোঃ তপু শেখ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চলছে বাণিজ্য মূল্যে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে রসিদ ছাড়া পানির লাইন এনে দেন শাহীন বিশ্বাস ও তাবারক, আমজাত । পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদ অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে পানির লাইন সাপ্লাই চলছে বেশ কিছুদিন ধরে তবে এর সাথে বেশ কিছু কর্মকর্তাসহ আরো লোক জড়িত বলে ধরনা পাওয়া গেছে। পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদে দুই গ্রামের মধ্য সরকারি পানির সাপ্লাই লাইন চালু করে সরকার যা সরকারি নিয়মে আবেদন করে রিসিট এর মাধ্যমে লাইন নিতে পারবেন । কিন্তু সেখানে ৫০০০ হাজার ৭০০০ হাজার টাকা না হলে পানির লাইন পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এক ভুক্তভোগী মহিলা জানান, আমার আগে পানির লাইন ছিল না আমি অনেক দূর থেকে পানি এনা লাগতো পরে একদিন পানির লাইনের লোক আমাদের বাড়ির পাশে তাবারক, শাহিন ইমরান তারা আমাকে পানির লাইন দেওয়ার কথা বলে আমার কাছের থেকে ৭০০০ হাজার টাকা নেন। টগাতি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামীণ পানি উন্নয়ন সমিতির ইনডেক অপারেটর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শাহীন বিশ্বাস ও তাবারক বিশ্বাস এবং হিসাব সহকারী আমজাদের বিরুদ্ধে পানির নতুন সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে যারা লাইনম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে লাইনম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় এদেরকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন গ্রাহক অভিযোগ করেন পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামীণ পানি সমিতির লাইনে নতুন সংযোগ নাকি ২০০০ টাকা লাগে কিন্তু আমাদের লাইন নিতে ১৪ হাজার টাকা খরচ নিয়েছে পানির লাইনের শাহিন বিশ্বাস ও তাবারক বিশ্বাস। চর শ্রীরাম কান্দি আকরাম বিশ্বাস বলেন আমাকে পানির লাইন দিতে টাকা নিয়েছে ১৫০০০ হাজার একই গ্রামের রোজিনা আক্তার বলেন আমাকে ২৫ ফিট লাইন দিতে টাকা নিয়েছে ৮ হাজার নাসির শেখ বলেন আমার কাছ থেকে লাইন দিতে টাকা নিয়েছে ১০ হাজার গিমাডাঙ্গা গ্রামের হাসান মাস্টার বলেন পাটগাতি ইউনিয়নের পানির লাইন বাবদ আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ৬১০০ এমনভাবে পাটগাতি ইউনিয়নের পানির লাইনের সংযোগ দিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনৈতিকভাবে বাণিজ্য করছে শাহীন বিশ্বাস তাবারক বিশ্বাস ইমরান ও হিসাব সহকারী আমজাদের নেতৃত্বে এই বাণিজ্য গুলো এই বাণিজ্য গুলো চালিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে লাইনম্যান শাহীন বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি ৮ থেকে ১০ টা লাইন দিয়েছি ৮ হাজার টাকা থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছি হিসাব সহকারী আমজাদ বলেন আমি এ বিষয়ে তাদেরকে শুনে এবারের মত না করে দিয়েছি নাআমি এ বিষয়ে তাদেরকে শুনে এবারের মতো না করে দিয়েছি আর টাকা লেনদেনের সঙ্গে আমি জড়িত না লাইনম্যান তাবারক বিশ্বাস ও বাল্ব অপারেটর ইমরান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গ্রামীণ পানি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি ও পাটগাতি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুভাষ বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিগত চেয়ারম্যান থাকাকালীন এরকম বাণিজ্য হয়েছে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামীণ পানি সমিতির কর্মচারীদের কে জানিয়ে দিয়েছি ভবিষ্যতে এরকম অনৈতিক বাণিজ্য করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসার প্রদীপ মজুমদার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যদি কেউ অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আর সরকারি রিসিট এর মাধ্যমে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে।