1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জগন্নাথপুরে গলায় ফাস দিয়ে গৃহ বধুর মৃত্যু, মর দেহ উদ্ধার নিম্নচাপের প্রভাবে দুমকিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বাড়তে পারে শীত নাসিরনগরে মোক্তার ব্রিক ফিল্ডকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শীতার্তদের পাশে তারুণ্যের বাংলাদেশ যুব সংস্থা করণদোষী ডান্স একাডেমীর ২তম বাৎসরিক অনুষ্ঠান ২০২৪, রোটারী সদনে অনুষ্ঠিত হলো রাণীশংকৈলে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা সহ ১ জন আটক গাইবান্ধায় জাসাসের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী বগুড়ায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ লোহাগাড়া উপজেলায়(সিআরবি) ভোক্তা অধিকারের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ডিমলায় এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাঁশের সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

 

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকি নিয়ে ৫ গ্রামবাসী নদী পারাপার হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে অত্র এলাকাবাসী।

উল্লেখ থাকে যে, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর অলিরঘাট। পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাঁকো। একটি ব্রীজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন অন্ত নেই। স্বাধীনতার আগে থেকেই এই ভোগান্তির মধ্য দিয়েই এই ৫ টি গ্রামের মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো গনকপাড়া গ্রামের সীমানা সংলগ্ন করতোয়া নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উঁচু হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিক্সা, সাইকেল, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। আর এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকেনা। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে।

জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্য-দিনের সঙ্গী। অলিরঘাট পেড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজার গুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশেপাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলায় ব্যবসা বানিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ী, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

উপজেলার সচেতন মহল বলেন, দীর্ঘদিন হলো উক্ত এলাকার মানুষের পারাপারের জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছে। ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে। ৫ টি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে।

উপজেলা প্রকৌশলী তপন চক্রবর্তী জানান,আমি উপজেলায় নতুন যোগদান করলেও এর আগে জেলা অফিসে কর্মরত ছিলাম তাই জানা মতে, জেলার অনেকগুলো ব্রীজ নির্মাণের আবেদন পাঠানো হয়েছে। উক্ত স্থানের বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান,জনগুরুত্বপূর্ন হলে উক্ত স্থানটি পরিদর্শন করে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রয়োজনীয় আবেদন জানানো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি