পিরোজপুর প্রতিনিধি:
নেছারাবাদে বিন্না গ্রামে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে মো: আব্দুল হালিম নামে এক কৃষককে নিয়ে নানান অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে আব্দুর রশিদ নামে জনৈক এক মামলাবাজ লোকের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ,এলাকায় কুৎসা রটনা করা সহ কৃষক হালিম-কে আওয়ামীলীগ নেতা আখ্যায়িত করে ফাসানোর চেষ্টা চালাতে মরিয়া হয়েছেন আব্দুর রশিদ। আব্দুর রশিদ একজন কাঠ ব্যবসায়ি। হালিম মিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধ নিয়ে তাকে ধমানোর জন্য ওই অপপ্রচার চালানোর পায়তারা এমনটি দাবি করছেন ভুক্তভোগী হালিম।
জানাগেছে, আব্দুল হালিম বলদিয়া ইউনিয়নের বিন্না গ্রামের বাসিন্দা। সে একটি কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি পদে চাকরি করে। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট লাগবে চাকরির পাশাপাশি বাড়িতে কৃষি কাজ করেন। একই গ্রামের ব্যবসায়ি আব্দুর রশিদের সাথে জমি নিয়ে তার দন্ধ চলমান। এরই ধারাবাহিকতায় হালিম মিয়া সুপ্রেয় পানির জন্য গ্রামের কয়েকজন মিলে একটি নলকূপের আবেদন করেন। নলকূপটি তার জায়গায় বসানো হয়। সেই নলকূপ থেকে গ্রামের হিন্দু মুসলমান সবাই মিলে পানি ব্যবহার করলেও তাতে বাধ বসে আব্দুর রশিদ মিয়ার।
তিনি তার কিছু নিজস্ব লোক লেলিয়ে দিয়ে সরকারি সেই নলকূপটি নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো শুরু করেন এলাকায়। তার অভিযোগ, আব্দুল হালিম একজন বড় আওয়ামীলীগ নেতা। সে বাড়ীতে সরকারি নলকূপ এনে কাউকে পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছেনা। এছাড়াও হালিমের বিরুদ্ধে মুখরোচক অভিযোগ এনে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো চেষ্টা চালানো হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে।
প্রতিবেশি মমতা,আব্দুল জব্বার,রিতা রানি বলেন, হালিম মিয়া বাড়ীতে টিওবয়েল বসানোর পর তারা সবাই নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে পারছে। গ্রামের সবাই মিলেমিশে আছি। রশিদের সাথে হালিম মিয়ার জমি নিয়ে ঝামেলা আছে। যে কারনে এখন টিওবয়েল নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাদের দাবি আব্দুল হালিম একজন নিরহ সাধারন মানুষ। মুলত তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। তার সাথে প্রতিবেশিদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
হালিম মিয়ার অভিযোগ, রশিদের কাছে আমি জমি পাব। সেই জমি দিচ্ছেনা। এ নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে। তাই সে কখনো আমাকে আওয়ামীলীগ নেতা বলে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করছে। আবার কখনো আমার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করছে।
অভিযোগ অস্বীকার আব্দুর রশিদ বলেন, হালিম একজন খারাপ লোক। তিনি সরকারি টিওবয়েল এনে নিজের মত ব্যবহার করছেন।