মোমিন আলি লস্কর ও জয়দীপ মৈত্র দক্ষিণ দিনাজপুর, :- কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির ন্যায় অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ । পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতে অনিয়ন্ত্রীতভাবে গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে। এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ সবসময় পাওয়া যায় । তা থেকে যখন তখন ঘটতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ ঘটনা।
তাছাড়া একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর । আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে অনেক সময় বুকিং করে পাওয়া যায় না, তখন তারা বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। জানি কাজটা অবৈধ ও মারাত্মক কিন্তু কি করবো পেট চালাতে হবেতো।’
প্রসঙ্গত, জেলার সদর শহর বালুরঘাট সহ বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন পাড়ার দোকান বা রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় দোকান গুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। এসবকিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে । তবুও তাদের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন । এই বিষয়ে এক পরিবেশবিদ ও সাহিত্যিক দিলীপ তালুকদার বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রীত ও অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে । জানিনা প্রশাসন সব জেনেও চুপ কেন ? অতি স্বত্তর বেআইনি গ্যাস ভর্তির কাজগুলিকে প্রশাসনের বন্ধ করা দরকার। এটাও ঠিক যারা একাজ করছেন তারা শুধুমাত্র পেটের দায়ে করছেন । বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই, তাই তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছেন। আসলে সর্বোপরি সরকারকে অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও দ্রব্যমুল্যের সঠিক ভাবে নিয়ত্রণ করা দরকার।