স্টাফ রির্পোটার : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান খান তার পরিবার নিয়ে স্পিডবোটে নদীতে ঘুরতে গেলে চলন্ত অবস্থায় স্পিডবোটের পেট্রোল ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণ হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে হরিণঘাটা খালে এ ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য ইউএনও পরিবার বেঁচে গেলেও দগ্ধ হয়েছেন স্পিডবোটে থাকা আলম নামে এক মেকানিক। আগুন নেভাতে গেলে তার শরীরের পা ও হাত ঝলসে গেছে। তাকে পাথরঘাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আলম হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ত্রাণ ও দুর্যোগ শাখার স্পিডবোটটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। মাঝেমধ্যে জরুরি কোনো কাজে মোটামুটি পর্যায়ে মেরামত করে ইউএনও চলাচল করতেন। এই অবস্থায় আজ আমাকে খবর দিলে স্পিডবোটটি মেরামত করার আগেই পাথরঘাট স্পিডবোটটি সারার জন্য আমি কলাপাড়া থেকে উপজেলা পরিষদের বেসরকারি স্পিডবোট ড্রাইভার রবিউল হোসেন ইউএনওর পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে নদীপথে সুন্দরবনের ভ্রমণে যায়। সেখান থেকে পাথরঘাটায় ফিরে আসার পথে হরিণঘাটা খালে যখন প্রবেশ করে তখন হঠাৎ করে বিকট শব্দে স্পিড বোটের পেট্রোলের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণ ঘটে এবং স্পিডবোটে আগুন ধরে যায়। এ সময় আগুন ধরা ট্যান্ডসহ অনেক মালামাল নদীতে ফেলে দিলে সকলে প্রাণে রক্ষা পায়। পরে স্থানীয় জেলেরা খবর পেয়ে মাছ ধরার ট্রলারে গিয়ে ইউএনওর পরিবারসহ সবাইকে উদ্ধার করে পাথরঘাটায় নিয়ে আসে। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাজির বাবুল লাল ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমিও স্পিডবোটে ছিলাম। আল্লল্লাহ প্রাণে রক্ষা করলেও আমরা সকলেই আতঙ্কিত। নদীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটলে আমরা কেউই মনে হয় বাঁচতে পারতাম না। খালের মধ্যে এসে পেট্রোল ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হওয়ায় একপ্রকার বেঁচে গেছি। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।