মোঃ খাদেমুল ইসলাম,
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

: অবৈধ পথে ভারত থেকে পঞ্চগড়ে ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে এসে হৃদয় মিয়া (১৩) নামে এক ভারতীয় কিশোর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদস্যদের হাতে আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে নীলফামারী- ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা এক সংবাদ বিজ্ঞোপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী’র (বিএসএফ) আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞোপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতীয় কিশোর হৃদয় মিয়া ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জ সিট শাখাতি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞোপ্তিতে বলা হয়েছে, নীলফামারী- ৫৬ বিজিবির অধীনস্থ পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৭৬৭/৮-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক হৃদয় মিয়া শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে ৫৬ বিজিবি শিংরোড বিওপির একটি টহল দল গত ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজস্ব গোয়েন্দার সহায়তায় তাকে আটক করে।

আটকের পর তাকে বিওপিতে নেয়া হয়। একই সময় তার কাছে থাকা ১ টি ভারতীয় রেডমি মোবাইল ফোন এবং ১টি ভারতীয় সিমকার্ড পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ওই কিশোর জয়ধরভাঙ্গা নেকিপাড়া নামক এলাকায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্য রেখা অতিক্রম করে।
নীলফামারী- ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ভারতীয় ওই কিশোর অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে নিজস্ব গোয়েন্দার সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে সে অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে বিএসএফের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সদর দপ্তর বিজিবি’র নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোনো মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত।