আজ ২৬শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রেরণায় এবং ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের উদ্যোগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ক্রেতা সুরক্ষা মেলার শুভ সূচনা হলো, এই মেলা চলবে ২৬ শে ডিসেম্বর থেকে ২৮ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই মেলার শুভ সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এবং একটি জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে, মেলা শুভ সূচনার পর উপস্থিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে স্মারক ও একটি করে গাছ তুলে দেন। মেলার শুভ সূচনা করেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র মহাশয় সহ অন্যান্য মন্ত্রী একত্রিত হয়ে।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, তার সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, মাননীয়া মন্ত্রী শশী পাঁজা, মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মাননীয়া মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী অরূপ রায়, মন্ত্রী মাননীয়া বীরবাহাদুর হাঁসদা, মন্ত্রী জাবেদ আখতার, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, সাংসদ সুব্রত বক্সী , এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কার্তিক ব্যানার্জি, বিপ্লব রায় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে উপভোক্তা বিষয়ক ক্রেতা সুরক্ষা মেলার মূল বিষয় হলো, সাধারণ মানুষকে সজাগ করা, তাই ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, যাতে কোনদিন ঠকতে না হয়, যেমন ক্রেতাদের সজাগ করার চেষ্টা করছেন, তেমনি বিক্রেতাদেরও সজাগ করছেন, যাতে কোনভাবে ক্রেতাদের না ঠকান। তাই সরকারের তরফ থেকে মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন স্টল রেখেছেন, যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বিষয়গুলি জানতে পারবেন। এই মেলা ২৬ শে ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ক্রেতা ও বিক্রেতা এবং সাধারণ মানুষদের জন্য।
এই বছর ২৬শে ডিসেম্বর ক্রেতা সুরক্ষা মেলার সাথে সাথে, ২৭ এ ডিসেম্বর জাতীয় উপভোক্তা দিবস পালন করা হবে বলে জানান। এই মেলায় প্রায় ৯০ টিরও বেশি স্টল রয়েছে, সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে বেসরকারি সংস্থা পর্যন্ত।
তাহারা জানান ২০২০ সালের ২০ শে জুলাই উপভোক্তা সুরক্ষা আইন এবং 2019 সালে সারা দেশ জুড়ে কার্যকর করা হয়েছিল, এই আইন উপভোক্তাদের সুরক্ষার আইন। যাহাতে উপভোক্তারা সঠিক জিনিস পান, ন্যায্য ওজন, সঠিক রশিদ পান, এবং সঠিক হলমার্ক দেখে যেন কিনতে পারে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর রাজ্য জুড়ে জনসাধারণের মধ্যে উপভোক্তা সচেতনতার প্রসার বাড়িয়ে চলেছেন।। শুধু শহরে নয়, গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ও জেলায় জেলায় এই সুরক্ষা মেলার আয়োজন করেছেন, এবং হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন,
২০২৪ সালে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর উপভোক্তা বিষয়ক ও ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন অধিকারের বাইশটি আঞ্চলিক কার্য নয় গুলির মাধ্যমে উপভোক্তা সচেতনতার বৃদ্ধি, এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর আয়ত বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছে।। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ে উপভোক্তা সংঘ গ্রুপ তুলেছেন।
তাহারা জানান একটা জিনিস কিনতে গেলে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার, প্রতারণা শিকার হলে কার কাছে অভিযোগ জানাবেন এবং কি কি প্রতিকার পেতে পারেন সেই সকল বিষয় তুলে ধরেছেন।
উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন , যেমন ই দাখিল পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্য জেলা উপভোক্তা কমিশনে মামলা দাখিল করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। উপভোক্তা বিরোধী নিষ্পত্তি কমিশনে ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তাদের নিখরচায় মামলা দায়ের করতে এবং মামলা চালাতে সাহায্য করতে, উপভোক্তা সহায়তা ব্যুরো গঠন করেছেন।। এছাড়াও বিধিবদ্ধ কনজিউমার কমিশন গুলির পাশাপাশি, দপ্তরের সদর ও উপভোক্তা বিষয়ক ও ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন আধিকারিকের আঞ্চলিক কার্যালয় গুলিতে আপোস মীমাংসার মাধ্যমে উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি দপ্তরে সেন্ট্রালে গ্ৰিভেন্স রিড্রেসাল সেল তৈরি করেছেন।
সর্বোপরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর কলকাতার কেতার শুক্র রক্ষা মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলার জন্য সকল অংশগ্রহণকারী তরকারি দপ্তর বাণিজ্যিক সংস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এনজিও এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সনিবদ্ধ অনুরোধ করেছেন প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সোজাগ করানোর, যাতে কোনো কিছু কিনতে গিয়ে ঠকতে না হয়।
এই ক্রেতা সুরক্ষা মেলায় থাকছে , একদিকে সাধারণ মানুষকে সজাগ করা, অন্যদিকে থাকছে মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছৌ নৃত্য, আলোচনা সভা, সংগীত অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
রিপোর্টার সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ)