মোঃ লিমন হোসেন
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী গাজীপুরা কাজীপাড়ার একটি সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হযরত আলী মেমোরিয়াল একাডেমী এন্ড কলেজ, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং ইসলামের সঠিক শিক্ষা প্রদান করে আসছে। যেখানে সারাবিশ্বে অপসংস্কৃতির প্রভাব বিস্তার করছে, সেখানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের অপসংস্কৃতি থেকে ফিরিয়ে এনে সুস্থ ও মঙ্গলময় সংস্কৃতির দিকে পরিচালিত করতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনার আয়োজনের সূচনা করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে কী করণীয়” শীর্ষক একটি আলোচনা সভা ও কাওয়ালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ শে ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ বুধবার সন্ধ্যায়, টঙ্গী গাজীপুরের হযরত আলী মেমোরিয়াল একাডেমী এন্ড কলেজের মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোবারক করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেনেসাঁ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সোলাইমান হোসেন, দৈনিক সময়ের কথা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নেকবর আলী খান। এই আয়োজনের মাধ্যমে, কলেজটি সকল শিক্ষার্থীদের অপসংস্কৃতি থেকে ফিরিয়ে এনে সুস্থ ও মঙ্গলময় সংস্কৃতির দিকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার প্রসার, কোরআনের মূল্যবোধ এবং ইসলামের সঠিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে, যা তাদের জীবনকে আরও সুন্দর ও পরিপূর্ণ করে তুলবে। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা উপস্থাপন করে। আলোচনা সভায় বক্তারা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সৃজনশীলতার বিকাশে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যার মধ্যে ইসলামিক গান, নৃত্য এবং নাটক ছিল, উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে। প্রধান অতিথি মোবারক করিম তাঁর বক্তব্যে বলেন কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জ্ঞানার্জন এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য সত্যিকারের ইমানদার হওয়া, জ্ঞানচর্চা করা এবং সমাজের কল্যাণে অবদান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” অনুষ্ঠানটি উপস্থিত সকলের মনে এক গভীর প্রভাব ফেলে এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। তিনি আরও বলেন আমাদের দেখা দেখি অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক জ্ঞান চর্চা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।