এনামুল হক :- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।
নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া মৌজায় এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউন কর্তৃক তিন ফসলি জমিতে বালু ভরাট বন্ধ , কৃষকদের লীজকৃত কৃষি জমি কৃষকদের নামেই পুনর্বহাল রাখা, নিরীহ কৃষকদের নামে রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও ভূমিদস্যুদের দালাল হানিফ মোল্লা, কাজল মিয়ারসহ সকল দালাল ও সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন কৃষক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষক-কৃষাণনীসহ সহস্রাধিক লোকজন অংশ নেয়।
মানববন্ধন পূর্বক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষক মোস্তফা ভুইয়া। সময় বক্তব্য রাখেন, কৃষক হুমায়ুন ভুইয়া, হাতেম মোল্লা, মোকলেছ ভুইয়া, ইব্রাহীম ভুইয়া, কৃষাণী রুজিনা বেগম, শিক্ষার্থী শিমা আক্তার, তানিয়া, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অন্তর ভুইয়া।
এসময় কৃষক মোস্তফা ভুইয়া বলেন, এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউন আমাদের বাপ-দাদার জমিসহ সরকারি সম্পত্তিতে বালু ভরাট করে দখলে নিচ্ছে। আমরা নিরীহ কৃষকরা জমি দখল করতে বাঁধা দিলে এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু দালাল আওয়ামী লীগের দোশর হানিফ মোল্লা, কাজল, খোরশেদ, মামুন, ইসলাম মোল্লাসহ তাদেরকে দিয়ে মারধর করে। নিরীহ কৃষকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা কৃষকরা এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনের এ অত্যাচার ও হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। আমাদের নামে রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহার চাই।
কৃষক হুমায়ুন ভুইয়া বলেন, এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউন আধুরিয়া মৌজায় আমাদের কৃষি জমিতে রাতে আধারে জোরপূর্বক বালু ভরাট করছে। এ কৃষি জমি ছাড়া আমাদের কোনো জমি নাই। আমাদের সব শেষ করে দিছে। এ জমি ছাড়া আমাদের কোনো জমি নাই। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। আমাদের কৃষি জমি দখলমুক্ত করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে জোরদাবি জানাচ্ছি।
ইব্রাহীম মিয়া বলেন, আমাদের নিজেদের বাপ দাদার সম্পত্তি হওয়া সত্বেও আমরা তা ভোগ করতে পারিনা। আমরা আমাদের কৃষি সম্পদ ফেরত চাই এবং আমাদের জীবন ভিক্ষা চাই। আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই।
শিক্ষার্থী শিমা আক্তার বলেন, কোম্পানির সন্ত্রাস দিয়ে রাস্তা ঘাটে বের হলেও আমাদের মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে আমরা যেন এই জায়গা থেকে চলে যাই এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে।প্রতিটি কৃষকের একটাই অভিযোগ, বালু ভরাট বাধা দেওয়ার কারণে নির্মম ভাবে দালাল চক্রের হাতে নির্যাতিত হতে হচ্ছে।