তপন দাস, নীলফামারী
নীলফামারী সদর থানার গোড়গ্রাম (আইল্লাপাড়া) গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদশার স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে শিল্পপতি মোসাদ্দেকুর রহমান ওরফে দুলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
থানার অভিযোগ সুত্রে যানা যায় জাহাঙ্গীর আলম বাদশা (৪০), পিতা- মৃত জাকির হোসেন, গ্রাম গোড়গ্রাম (আইল্লাপাড়া), থানা ও জেলা-নীলফামারী বিগত ১৬/০৬/২০২৩ তারিখে জাহাঙ্গীর আলম বাদশার সাথে নীলফামারী সদর থানার গোড়গ্রাম হাজিপাড়া গ্রামের: মশিউর রহমান (মশিয়ারের) মেয়ে মোছাঃ তহমিনা আক্তার তরি (৩৩) এর সাথে রেজিঃ কাবিননামা ও ইসলামী শরাশরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে তারা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করিয়া আসিতেছে। ঘর সংসার করাকালে মোঃ মোসাদ্দেকুর রহমান ওরফে দুলু চৌধুরী (৫৫), পিতা- মৃত আলহাজ্ব মহির উদ্দিন চৌধুরী, সাং- ইটাখোলা চৌধুরীপাড়া, জাহাঙ্গীর আলম বাদশার বাড়ীতে প্রায় সময় আসিয়া তার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাবসহ উত্তাক্ত করিতে থাকে। বাদশার স্ত্রী বিষয়টি তাকে জানাইলে তিনি দুলু চৌধুরীর দেখা পাইয়া তার স্ত্রীকে আর যেন বিরক্ত না করে তাহাকে সতর্ক করিয়া দিলে তিনি বাদশার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে এবং বাদশার স্ত্রীকে তুলিয়া নিয়ে যাইবে বলিয়া বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন গত ২৯ নভেম্বর রাত অনুমান ০৮ ঘটিকার সময় দুলু চৌধুরী সহ আরও ২/৩জন অজ্ঞাতনামা লোকের সহযোগীতায় তিনি নীলফামারী থানাধীন জোরদরগা এলাকার জনৈক মোঃ নয়ন এর ভাড়া বাসা হইতে বাদশার স্ত্রীকে ফুসলাইয়া বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাড়ীতে নিয়ে যায়। বাদশা ঘটনার সংবাদ পাইয়া দুলু চৌধুরীরর বাড়ীতে তার স্ত্রীকে আনার জন্য গেলে তিনি বাদশাকে দেখিয়া অকথ্য ভাষায় গালি- গালাজসহ হুমকি দিয়ে বলে যে, আমি তোর স্ত্রীকে অপহরন করিয়া বিবাহ করে ঘর সংসার করিতেছি। পারলে তোর কি করার আছে করিস এই বলিয়া বাদশাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদশা কোন উপায় না পেয়ে নীলফামারী সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোসাদ্দেকুর রহমান ওরফে দুলু চৌধুরী বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন তরির বাবা-মায়ের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিবাহ করেছি এবং বাদশার পুর্বেও তার স্বামী ছিল গোড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান মোশতাক, বাদশা যেহেতু একজনের স্ত্রীকে সম্পর্ক করে বিবাহ করেছে তাহলে বিষয়টি এরকমই।
এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবু সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে দুই দলে সদর থানায় এসেছিল এবং বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা চলছে। উভয়পক্ষেই বিষয়টি মিমাংসা করবে মর্মে যানা যায়।