উজ্জ্বল কুমার সরকারঃ
আজ ২৮ ডিসেম্বর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজিয়া খান এর প্রয়াণ দিবস। তিনি একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। লেখালেখি ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন মঞ্চে অভিনয় করেছেন। তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর ফরিদপুরের এক অভিজাত পরিবারে।
তিনি কলকাতা ও করাচিতে স্কুল এবং কলেজ জীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও এমএ পরীক্ষায় প্রথম হন। পরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে পড়তে যান। তিনি তাঁর পেশা জীবন শুরু করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড থেকে ফিরে তিনি ‘অবজারভার’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীতে যোগ দেন এবং নিয়মিতভাবে ব্যঙ্গ কলাম- ‘কালচার কেটল’ লেখা শুরু করেন।
১৯৫৮ সাল থেকে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে পুনরায় শিক্ষকতার জীবন শুরু করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেন এবং এই বিভাগের প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
পঞ্চাশের দশকে সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনুরাগী ও প্রগতিবাদী লেখিকা হিসেবে লেখালেখি করেছেন রাজিয়া খান। ১৮ বছর বয়সে তাঁর লেখা ‘বটতলার উপন্যাস’ জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ‘দ্রৌপদী’ এপার ওপার দুই বাংলায় বেশ সমাদৃত।
তিনি ১৯৭৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। সাহিত্যিক রাজিয়া খান ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।