1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
সৈয়্যদ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রাঃ) বার্ষিক ওরশ শরীফ - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
লোহাগাড়ায় ১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত এক বালু খেকো কালীগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রামপালের জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর পক্ষে মানবিক সহায়তা প্রদানে সিন্দুকছড়ি জোন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশোধ হিসেবে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের প্রহসনমূলক বিচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি ঝালকাঠি দারুল উলূম কারীমিয়া কওমী মাদ্রাসার বই বিতরণ ও সবক অনুষ্ঠিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর গজারি বন থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ উদ্ধার মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবী সমিতি দখলে নিল বিএমপি কাপাসিয়ায় নিখোঁজের দুই মাসেও ছেলের সন্ধান পাননি মা

সৈয়্যদ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রাঃ) বার্ষিক ওরশ শরীফ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

কামরুল ইসলাম

পটিয়া বড়লিয়ার আওলাদে রাসুল(দঃ) কুতুবুল আউলিয়া, শাহসুফি হযরত সৈয়্যদ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রাঃ) বার্ষিক ওরশ শরীফ ১লা,জানুয়ারী,২০২৪ জীবনী ও কারামত।
হুজুর কেবলা জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ-
যাঁদের শুভ আবির্ভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠ ধন্য হয়েছিল। যাদের অসাধারণ বেলায়তী প্রভাবে মানুষের হৃদয় মনে খোদা ভীতি তথা ঈমানের আলো উদ্ভাসিত হয়েছিল, যাদের জীবনাদর্শ পরবর্তী প্রতিটি যুগের মানুষকে আল্লাহ ও রাসূলমুখী হবার অমিয় স্বাদ আস্বাদন করিয়ে উভয় জাহানের সাফল্য অর্জনে উদ্ধুদ্ধ করে আসছে, আল্লাহর এমন মহান অলীদের মধ্যে বড়লিয়া সৈয়্যদ বাড়ীর, কুতুবুল আউলিয়া, আওলাদে রাসূল, পীরে কামেল হযরত সৈয়্যদ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) অন্যতম।
তিনি ছিলেন অত্যান্ত উঁচু মাপের আল্লাহর একজন মকবুল ওলী। তাঁর পূর্ব পুরুষ ইসলামের চতুর্থ খলিফা বেলায়েত সম্রাট,মাওলা আলী শেরে খোদা(রঃ) বংশধর সিলেট বিজয়ী বীর ৩৬০ আউলিয়ার সর্দ্দার হযরত শাহ জালাল ইয়েমীন(রহঃ) এর প্রধান সেনাপ্রতি হযরত সৈয়দ শাহ্ নাছির উদ্দিন (রহঃ) সিপাহী শালা পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য আরব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমন করেন এবং তাহারই একজন বংশধর হযরত সৈয়দ শাহ্ সুলতান (রহঃ) ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার বারৈকাড়া গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেন। এক সময় তিনি বারৈকাড়া গ্রামে তার স্ত্রী,পুত্র,পরিজন রেখে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য বার্মায় গমন করেন, তাহার বংশধর বারৈকাড়া গ্রামে শায়িত আছেন, বাংলার খাজা, হযরত শাহসুফি সৈয়্যদ শাহ হাসান গদা প্রকাশ হযরত শাহগদী(রহঃ) পাঁচ আউলিয়া মাজার তহারই একজন বংশধর হলেন কুতুবুল আউলিয়া, আওলাদে রাসূল, পীরে কামেল হযরত সৈয়্যদ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে বড়লিয়া গ্রামে সৈয়দ বাড়িতে ১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ নুরুল হক ফকির (রহঃ) এবং মাতার নাম সৈয়্যদা মাছুমা খাতুন। তাহার দুই জনই অত্যান্ত ফরহেজগার ছিলেন।

🔷 শিক্ষা জীবনঃ-
হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) প্রথমে বাড়িতে তার পিতার নিকট প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করেন। এরপর কিছুদিন গ্রাম্য মক্তবে আরবী ও বাংলা শিক্ষা লাভ করেন। চট্টগ্রামে তখন উচ্চ শিক্ষার সুব্যবস্থা ছিল না। তাই তিনি উচ্চ শিক্ষার অর্জনের জন্য ১৯২৬ খ্রীষ্টাব্দে সুদুর ভারতের কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তখন কলিকাতা ছাড়া ধর্মীয় আরবি উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা ভারতের অন্য কোথাও ছিল না। এরপর ১৯৩৮ খ্রীষ্টাব্দে তিনি কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা শেষ পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পাশ করে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। কুরআন, হাদীস,তফসির, ফিকহ,বালাগাত,আকায়েদ,আরবি,উর্দু,বাংলা, ফার্সী,উছুল ও ফরায়েজ এসব শাস্ত্রে তিনি অত্যান্ত অভিজ্ঞ ছিলেন।

🔷 কর্ম জীবনঃ-
কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাবর্তন করে হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) এদেশের মানুষকে শরীয়ত ও ত্বরীকতের শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। অনেক বছর কাল শরীয়ত ও ত্বরীকতের শিক্ষা দান করে জনগণের নিকট শ্রদ্ধার পাত্র হইয়া পড়েন। তিনি প্রতি বছর (রজব,শাবান,রমজান) তিন মাস এবাদতের নিয়তে ওকন্যারা সৈয়দ খাঁন জামে মসজিদে ইতেকাফ থাকতেন। প্রতিবছর তিনি জিয়ারতের উদ্দেশ্য আজমীর শরীফ গমন করতেন। তিনি প্রায় ১৩ বার হজ্জ করে ছিলেন। তাছাড়া তিনি বাগদাদ শরীফ হযরত পীরানে পীর দস্তগীর গাউসুল আজম মহিউদ্দিন সৈয়দ আবদুল কাদের জীলানী (রহঃ) এর মাজার শরীফ জিয়ারতে যান। তিনি তার ভক্তদের ধৈর্য্যের শিক্ষা দিতেন। বিপদের সময় আল্লাহ পাক যা করেন তার উপর রাজি থাকার আদেশ দিতেন। তিনি বলতেন, “পীরের কাজ হচ্ছে মুরিদকে রাসূল (দ.) পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া আর রাসূলের কাজ হচ্ছে আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া।” তিনি শরিয়ত ও ত্বরীকতের বিশাল খেদমতে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজেকে মশগুল রাখতেন। তিনি মানব সেবায় অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন। অভাবীদের সাহায্য, গরীব মেয়েদের যৌতুক বিহীন বিবাহ দান,এতিমদের খোরপোষের খবর নেয়া ছিল তার নিত্য দিনের কর্মসূচি।

🔷 বিবাহ ও পারিবারিক জীবনঃ-
হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) ছিলেন তার তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সকলের বড়।এদের মধ্যে দ্বিতীয় জন হলেন মুহাম্মদ সৈয়্যদুর রহমান এবং তৃতীয় জন হলেন সৈয়দ আহমদ হোসেন এবং সবার ছোট হলেন সৈয়্যদা আয়েশা খাতুন। তাকে চন্দনাইশ উপজেলার বরমা গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। যতটুকু জানতে পারি হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) ৩১ বছর বয়সে দাম্পত্য জীবনে পা রাখেন। তার প্রথম স্ত্রী ইন্তেকাল করলে পরের বছর তিনি ২য় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মোছাম্মৎ নচিমা খাতুন। তার ১ম সংসারে কোনো সন্তান ছিল না এবং ২য় সংসারে দুই পুত্র ও তিন কন্যা রয়েছে। পুত্রদের মধ্যে বড় হলেন সৈয়দ মুহাম্মদ নুরুল হুদা তার ছোট হল সৈয়দ মৌলানা আনোয়ারুল হক। কন্যাদের সকলের বড় হলেন সৈয়্যদা নুরুন্নিছা। তাকে বাঁশখালী উপজেলার বরুমছড়া গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। তার ছোট হল সৈয়্যদা কামরুন্নিছা। তাকে পটিয়া উপজেলার মালিয়ারা গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। তার ছোট হল সৈয়্যদা লুৎফুন্নিছা। তাকে আনোয়ারা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়।

🔷 হজ্ব পালনঃ-
হুজর কেবলা প্রায় ১৩ বার হজ্ব পালন করেছিলেন। হজ্বে গিয়ে তিনি খুব কমই নিদ্রা যেতেন এবং সারা রাত ইবাদত করে কাটিয়ে দিতেন। এমনকি তিনি শেষের কয়েকবার হজ্বে গিয়ে বিছানায় পিঠ পর্যন্ত লাগান নাই। বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া বিছানা পত্র বাধাঁ অবস্থায় ফেরত নিয়ে আসছেন। হুজুরে ভক্তগণ তাঁহার এমন কঠিন রিয়াজত দেখে জিজ্ঞাসা করলেন; “হুজুর আপনার কি একটু আরাম করতে ইচ্ছে করে না”? হুজুর বললেন, ” কি করে আরাম করব,আমি তো হজ্বে আরাম করার জন্য আসি নাই”।

🔷 সুন্নতের অনুসরণঃ-
হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) পরিপূর্ণ সুন্নতের অনুসারী ছিলেন। কখনো সুন্নতের খেলাপ একটি কাজও তার জীবনে দেখা যায়নি। তিনি সব সময় সাদা পাগড়ি, সাদা জামা ব্যবহার করতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মিসওয়াক করতেন। তার স্বীয় হুজরাখানার সামনে বড় একটা পিঁড়িতে অযু করতে বসতেন এবং কেবলামুখী হয়ে অযু করতেন। রাসুলের একটি সুন্নত ও পরিহার না হওয়াই ছিলো তার সবচেয়ে বড় ক্বারামত,এমনকি হালাল-হারাম ও তাকওয়া পরহেজগারীর প্রতি তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল।

🔷 সময়ের সদ্ব্যবহারঃ-
তিনি সময়কে অত্যধিক গুরুত্ব দিতেন। তার নিকট হাজত নিয়ে আগতের ধারণাতীত সমাগমকে নূন্যতম বিরক্তি প্রকাশ করতেন না। তিনি নানাবিধ দুদর্শাগ্রস্তদের যথাযথ উপদেশ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা দানে সন্তুষ্টচিত্তে বিদায় করতেন। তিনি রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তেন। যথানিয়মে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে গিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হয়ে যেতেন। বাদে মাগরিব আওয়াবীন নামায পড়ে আধ ঘন্টা হতে এক ঘন্টা মোরাকাবা করতেন।

🔷 মেহমানদারীঃ-
মেহমানদারী করাকে তিনি খুব ভাল বাসতেন। কোনো মেহমানকে তার হুজরা শরীফ হতে মেহমানদারী গ্রহণ ছাড়া আসতে দিতেন না। ইন্তেকালের পূর্ব মুহুর্তে ও মেহমানদারী প্রতি তার সজাগ দৃষ্টি ছিলেন। চোখ খুলে যদি কোনো মেহমান দেখতেন হাতের ইশারায় মেহমানদারীর ব্যবস্থা করতেন। এমনকি তিনি তার হুজরা শরীফে বিভিন্ন প্রকারের শুকনো নাস্তা রাখতেন। যাতে তৎক্ষনাৎ মেহমানদারী করতে পারেন।

🔷 সাধারণ অভ্যাস সমূহঃ-
১) তিনি মুছকি হাসতেন।
২) নিজের চিরুনি ও আয়না পৃথক রাখতেন।
৩) হাই তোলার সময় দাঁতের মধ্যে আঙুল চেপে শব্দ হতে দিতেন না।
৪) কেবলার দিকে কখনো থুথু ফেলতেন না।
৫) দৃষ্টি নিছের দিকে রাখতেন।
৬) উপযুক্ত মতে প্রত্যেক লোকের ইজ্জত ও সম্মান করিতেন।
৭) প্রত্যেকের সঙ্গে নম্র ব্যবহার করতেন।
৮) নামাজ খুব ধীরে পড়তেন।
৯) মুহাম্মদ শব্দটি শুনলে সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন।

🔷 খেলাফত লাভঃ-
একদা তিনি ভারতের আজমগড় জেলার কোহন্ডা গ্রামে শাহসুফি হযরত হাফেজ হামেদ হাসান আজমগড়ী শাহ (রহঃ) এর নিকট গিয়েছিলন। হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) তাকে দেখে খুব খুশি হন এবং তাকে নিজ হাতে বায়আত করান।পরবর্তীতে তার পীর হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) এর খিদমতে তিনি নিজের আমিত্ব, অহংকার বিসর্জন দিয়ে ত্বরীকতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে খেলাফত লাভে ধন্য হন।
খেলাফত লাভের পর তিনি তার পীর হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) এর নিকট খোদা তালাশের জন্য পাহাড় জঙ্গলে ইবাদতে মশগুল হবার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি পান নি। বরং পীর সাহেব বলেছিলেন, “একা খোদা তালাশ করা থেকে দেশের অন্যান্য মানুষকে ইসলামের সঠিক পথ দেখানো অনেক উত্তম।” এর পর তিনি পীরের নির্দেশে নিজ দেশে এসে দ্বীনি সংস্কারের নেতৃত্ব দেন।
তার পীর হযরত শাহ্ হামেন হাসান আলভী আজমগড়ী (রহঃ) ১৮৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রেত্রিক বাড়ী ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড় জেলার কোহন্ডা গ্রামে। তিনি নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তার পিতার নাম হযরত শেখ করিম বকশ (রহঃ), হযরত সৈয়দ আবদুল বারী শাহ্ (রহঃ) হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) এর পিতার পীর ছিলেন। তিনিই হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) কে খেলাফত দান করেন। হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) বার্মায় থাকা অবস্থায় হুগলির বান্ডেলে তার পীর ইন্তেকাল করেন। তিনি তাহার পীর সাহেবের ইন্তেকালের সংবাদ জানতে পেরে বার্মার কর্মস্থল ত্যাগ করে হুগলির বান্ডেলে ফিরে আসেন। হযরত আজমগড়ী শাহ (রহঃ) শেষ বয়সে বার্ধক্যকালীন খেদমতের জন্য ভারতের কোহন্ডায় তাহার কন্যার শ্বশুরালয়ে চলে যান এবং ৮৮ বছর বয়সে ১৯৫৯ সালের ২০ ই সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ১২ টায় তাহার প্রভুর ডাকে সাড়া দেন।

🔷 ওফাত লাভঃ-
আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছুই অস্থায়ী। একমাত্র আল্লাহ পাকের স্থায়িত্ব কায়েম থাকিবে। হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) এর জন্য ও একদিন নির্ধারিত সময় আসিয়া ছিল। সবাই তাহার মৃত্যুর শোকে অশ্রুজলের ধারা প্রবাহিত করে ছিল। একদা কুতুবুল আউলিয়া, আওলাদে রাসূল (দঃ), পীরে কামেল, হযরত সৈয়দ মৌলানা মাহবুবুর রহমান শাহ্ (রহঃ) ৯৬ বছর বয়সে তার অসংখ্য ভক্ত, মুরিদ (রুহানী সন্তান) এই ধরাধামে রাখিয়া মহান প্রভুর নিকট প্রস্থান করিতে প্রস্তুত হন এবং বাংলা ১৪১১ সাল,হিজরি ১৪২৫ সন, ইংরেজি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর, ২১ শাওয়াল, ২১ অগ্রহায়ন, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় পরম প্রিয় একমাত্র মাহবুব মহান আল্লাহর শুভ মিলনে বিশ্ববাসীকে ছেড়ে এই ধরাধাম ত্যাগ করে পরকালে যাত্রা করেন। ইন্তেকালের পূর্ব মুহুর্তে তিনি শয়ন অবস্থা থেকে হাত তোলে আল্লাহর সর্বোচ্চ ক্ষমতা ঘোষণা দিয়ে জোর গলায় “আল্লাহ আকবর ” বলে উঠলেন। অতঃপর জান্নাতি মেহমান হিসেবে হাজিরা দিলেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে পরদিন বাদে আছর নামাজে জানাজা শেষে বড়লিয়া রহমানিয়া দরবার শরীফে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি