মোঃ বেলাল হোসেন চট্টগ্রাম
দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র-ন্যায়বিচার-বাকস্বাধীনতা-অধিকার-বৈষম্যহীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত “বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ-বাশিকপ” এর হলরুমে দলটি ঘোষণা করেন মহাসচিব ডাঃ কাজী সোহেল রানা।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
দলটির আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয় ঘোষণাক্রমে দলটির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মহাসচিব ডাঃ কাজী সোহেল রানা।
আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা লায়ন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব লায়ন খান আক্তারুজ্জামান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এসময় সিঃ ভাইস চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র হিসেবে আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগীয় মুখপাত্র আলিমুজ্জামান আলিম, আরিফুল ইসলাম কাজল, ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগীয় মুখপাত্র ডাঃ সৈয়দ রুবায়েল আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় মুখপাত্র আমির আলী ফকির, ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী বিভাগীয় মুখপাত্র জুয়েল আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও খুলনা বিভাগীয় মুখপাত্র নাহিদা আক্তার লাকি, যুগ্ম মহাসচিব আ স ম আবু তালেব, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মাহমুদ, রতন মাদবর, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য সেলিম খান, আবুল কালাম, আমিরুল ইসলাম এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করবে তখন যখন বাংলাদেশের মানুষ পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে সঠিকভাবে গণতন্ত্র প্রয়োগ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব ডাঃ কাজী সোহেল রানা বলেন, কমিউনিস্ট মানে সার্বজনীন দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হবে উন্মোচন কমিউনিস্ট পার্টি।
উন্মোচন কমিউনিস্ট পার্টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, আমরা ২৭ টি দাবি ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে সুশিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ ছাত্র/ছাত্রীদের সুরক্ষা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের যাথাযথ মর্যাদা, দুঃস্থ ও গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য আজীবন ফ্রী শিক্ষা ব্যবস্থা, কৃষকদের মানোন্নয়ন ও মূল্যায়ন কৃষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান, সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে তাদের কৃষি কাজে ব্যবহ্রত যন্ত্রপাতি প্রদান ও প্রকৃত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন সহ অবসরকালীন ভাতা প্রদান,রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুরক্ষা নিশ্চিত ও তাদের সকল প্রকার দালালচক্র বা প্রতারক চক্রদের রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জনশুমারীর পরিবর্তে গ্রাম শুমারী, সাংবাদিকদের মানোন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত ও বাকস্বাধীনতা প্রদানে বাংলাদেশ সাংবাদিক গোয়েন্দা ফোর্স-বিজেআইএফ গঠন, দেশে কয়েকটি প্রদেশ ঘোষণা করে প্রাদেশিক সরকার গঠন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন ব্যতিত সকল নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিল ও নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ করা সহ ২৭ টি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।