আজ ১লা জানুয়ারী বুধবার, একদিকে নতুন বৎসর শুরু অন্যদিকে কল্পতরু উৎসব, ভোর থেকেই জমে উঠেছে বিভিন্ন মন্দির, ভক্তরা পুজো দিতে বেরিয়ে পড়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে শুরু করে আদ্যাপীঠ, বেলুড় মঠ ও কালিঘাটে।
আজ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভোর থেকে ভক্তদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনের অফিসারেরা, বারবার মাইকিং করে সতর্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যেনো সুষ্ঠুভাবে পুজো দেন এবং নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন, নির্দিষ্ট লাইন দিয়ে মন্দিরের দিকে এগিয়ে আসেন,।ভোর থেকেই কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে, হাতে পূজোর ডালি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন, কখন মায়ের কাছে গিয়ে পুজো দেবেন। অন্যদিকে মেট্রো থেকে শুরু করে বাসে ভিড় চোখে পড়ার মতো।
পুজো দিতে এসে তাদের পরিবারের মানুষকে অনেকে হারিয়েও ফেলছেন, ঘিরে হাতছাড়া হয়ে পড়ছেন এবং প্রশাসনিক লোকেরা মাইকিং করে জানানোর চেষ্টা করছেন, যারা পরিবার থেকে হাতছাড়া হয়ে গেছেন, অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য, একদিকে যেমন মন্দিরে ভিড় অন্যদিকে জেটি ঘাটেও মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
তবে অন্যান্য দিনের মতো আজকে ভক্তদের চলাচলে রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যসময় যেখান দিয়ে ভক্তরা ডালি কিনে পুজো দেওয়ার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করতেন, আজকের দিনে সেটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন চার দিক দিয়ে, এতটাই ভিড় যে একটা লাইনে ভেতরে ঢোকানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছেন।
এমনকি প্রশাসনের উপস্থিতিতে গেটের চতুর্দিকে লিখে দেওয়া হয়েছে প্রবেশপথ ও বাহিরপথ। নির্দিষ্ট দিক দিয়ে যেন ভক্তরা পুজো দিতে প্রবেশ করেন এবং নির্দিষ্ট দিক দিয়ে যেন তারা বাহিরে বেরিয়ে আসেন , এমনকি মন্দিরের ভেতরে কেউ যাতে ছবি না তোলেন তারও নির্দেশ দিতে দেখা যায় মাইকিং করে। শুধু তাই নয় , ভেতরে প্রবেশের আগে তাদের ব্যাগ, মোবাইল ,জুতো যেন নির্দিষ্ট স্থানে রেখে যান তারও নির্দেশ দিতে দেখা যাচ্ছে।
একদিকে যেমন প্রসাদ কেনার জন্য স্টলে স্টলে ভক্তরা ভীড় জমিয়েছেন, পুজোর ডালি কেনার জন্য, এমনি অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য দোকানে ভিড় জমিয়েছে, তাদের পছন্দের জিনিস কেনার জন্য। আজ একদিকে নতুন বৎসর অন্যদিকে কল্পতর উৎসব দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে কলকাতা শহর জনজোয়ার।
বিকেল যত গড়িয়া আসছে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভক্তদের ভিড় আরো বেশি জমে উঠেছে, এমনটাই চোখে পড়লো দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। এমনকি মন্দিরের চতুর্দিকে প্রশাসনের লোকেরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ)