1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
সিলেটের- মনতলা হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেনের টিকেট পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

সিলেটের- মনতলা হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেনের টিকেট পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

 

(মো ইপাজ খাঁ মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি)

রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজষে টিকেট কালোবাজারী সিন্ডিকেট চক্রের কাছে যাত্রীরা রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়ছেন। এই চক্রের দৌরাত্ম মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সিলেটসহ বিভিন্ন ষ্টেশনে রেলওয়ের কাউন্টার সমুহে নানা অনিয়ম ও যাত্রীদের হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে। রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আতাত করে কালোবাজারি টিকেট ব্যবসায়ীরা আগাম টিকেট কেটে পরবর্তীতে দ্বিগুন মূল্যে যাত্রীদের কাছে বিক্রয় করছেন। সরেজমিন সিলেট রেলওয়ে ষ্টেশনের কয়েকটি ষ্টেশন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আন্ত:নগর ট্রেনের টিকেট দশ দিন আগে অনলাইনে বিক্রয়ের সুযোগে অসাধু টিকেট কালোবাজারী চক্র রেলওয়ে স্টেশনের কতিপয় মাস্টার সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আতাত করে গোপন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

দশ দিন আগের টিকেট বিক্রির জন্য কম্পিউটার অপেন করার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আগাম টিকেট কেটে নেয়া হয়। পরে ঐ টিকেটই দ্বিগুন মূল্যে বিক্রি করা হয়।

রেলওয়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সহায়তায় একটি সিন্ডিকেট চক্র জমজমাট এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে যাত্রীরা কাউন্টারে এসে চার, পাঁচ দিন আগেও কোন টিকেট পান না।

কম্পিউটারে দেখানো হয় টিকেট নেই। নোয়াপাড়া.মনতলা.হরষপুর.আজমপুর স্টেশন সমুহে একই অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

 

রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকেট কালোবাজারী সিন্ডিকেট চক্রের কাছে যাত্রীরা রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়ছেন। এই চক্রের দৌরাত্ম মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দশ দিন আগের টিকেট বিক্রির জন্য কম্পিউটার অপেন করার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আগাম টিকেট কেটে নেয়া হয়। পরে ঐ টিকেটই দ্বিগুন মূল্যে বিক্রি করা হয়।

 

সিলেট-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে দিনের বেলা আন্ত:নগর পাহাড়িকা, কালনী, জয়ন্তিকা, পারাবত এক্সপ্রেস এবং রাতে উদয়ন ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। ফলে প্রতিদিন এই সেকশন দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদার কারনে সিন্ডিকেট চক্র ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তিন, চার দিন আগেও কাউন্টারে গিয়ে ঢাকা কিংবা চট্রগ্রামে যাওয়ার টিকেট কাটতে চাইলে কোন আসন নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়। কাউন্টার থেকে বের হওয়ার পরেই একটি চক্র দ্বিগুন মূল্যে পূর্বের কেটে রাখা টিকেট বিক্রি করছেন।

তাৎক্ষনিক পূর্বের স্টেশনগুলো থেকেও যেমন কুলাউড়া, শমশেরনগর বানুগাছ. শ্রীমঙ্গল.শায়েস্তাগঞ্জ. ষ্টেশনের টিকেট কাটতে চাইলেও কোন টিকেট পাওয়া যায় না। কাউন্টারে কর্তব্যরতরা এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ঘোরাতে থাকেন।

তবে নোয়াপাড়া. মনতলা.হরষপুর.মাকুন্দুপর.আজমপুর স্টেশন সমুহে রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ও কর্মচারীরা ভিন্ন কৌশলে টিকেট উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছেন।

তা স্বরজমিনে গণমাধ্যম কর্মী দেখেন
তাই সাধারণ যাত্রীরা এইরকম ভোগান্তি থেকে কিভাবে বাঁচা যায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি