আব্দুস সামাদ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
এক টানা ৩দিন পর লালমনিরহাটে মিললো সূর্যের দেখা। বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা। তাপমাত্রা শুক্রবার বিকালে বেড়ে তা ২৪ডিগ্রি সেলসিয়াসের উঠে যায়। এ কয়েকদিন রাতে-দিনে প্রায় সমপরিমাণে শীত অনুভুত হয়। টানা শৈত্য প্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। সূর্য উঠায় ঘর থেকে বেড়িয়ে কাজে নেমে পড়ে সবাই। শহর-গ্রামে সমান তালে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। তবে এখনও গ্রামের অনেক স্থানে রয়েছে হালকা কুয়াশা।
সূর্যের দেখা মেলায় শীত কিছুটা কমেছে। জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বেলা গড়ার সাথে সাথে সূর্যের তেজ বাড়তে শুরু করেছে।
প্রতি বছর লালমনিরহাটসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে শীত আগাম আসে এবং বেশি অনুভূত হয়। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবারের শীতে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় তিস্তা, ধরলা ও রত্নাই নদীর চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বেশি কষ্ট পায়।
দিনভর থাকে হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ার সাথে শুরু হয় কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। পরে কুয়াশা কমলেও অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় কমে না শীতের প্রকোপ।
গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরও বেশি থাকায় কৃষকরা ক্ষেত খামারে কাজ করতে পারেনি। গবাদি পশু নিয়ে পড়ে বিপাকে। বেশি দুর্ভোগে পড়ে নদী তীরবর্তী খেটে খাওয়া মানুষজন। শ্রমজীবীরা তীব্র হিমেল হাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে।
শীতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষজনের ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলে শীতজনিত রোগী ভর্তি হয়েছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।