মো:মিরাজ মোল্লা, শিবচর (মাদারীপুর)প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে প্রেমিককে স্বামী হিসাবে না পেয়ে হাফিজা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার বাবলাতলা এলাকার হাজী কাইমুদ্দিন শিকদারের কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজা, ওই গ্রামের চাঁনমিয়া মোল্লার মেয়ে। এবং তিনি চর বাঁচামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। এদিকে গলায় ফাঁসিদেয়া অবস্থায় নিজের বসত ঘরের ভিতরে থেকে হাফিজাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বড় ছেলে পিয়ার সরদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল হাফিজার সাথে। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। এই নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। করা হয়, বেশ কয়েকবার সালিশ দরবার।
তবে সেখানে, চাঁনমিয়া সরদারের বড় ছেলে পিয়ার,নিজের দোষ অস্বীকার করলেও তার ছোট ছেলে আলী সরদার সবার সামনে নিজেকে দোষী বলে দাবি করেন এবং ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়। তবে, হাফিজা কোনভাবেই আলীকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। সে বারবার বলছিল আমাকে নষ্ট করেছে পিয়ার সরদার আমি কেন আলিকে বিয়ে করবো, আমি যদি বিয়ে করি তবে পিয়ার কেই করব।
অপরদিকে স্থানীয় সালিশ ও পরিবারের লোকজন, আলীকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে হাফিজাকে আর এই কারণেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে রয়েছে পিয়ার হোসেনের পরিবার। তালাবদ্ধ রয়েছে তাদের বসতঘর।
নিহত হাফিজার বড় ভাই, নাসির মোল্লা বলেন, আমরা এলাকায় ন্যায় বিচার পাইনি, আমার বোন সম্পর্ক করছে কালাম সরদারের বড় ছেলের পিয়ার হোসেনের সাথে, আমার বোনকে ধর্ষণ করছে বড় ছেলে। অথচ সকলে মিলে বিয়ে দিবে ছোট ছেলে আলীর কাছে। আর এই কারণেই আমার বোন আজ আত্মহত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার ন্যায় বিচার চাই। একই অভিযোগ করেন এলাকাবাসীসহ নিহতের আরেক ভাই সজীব মোল্লা ও।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, নিহত হাফিজার একজনের সাথে একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল জানতে পেরেছি। এখানে ধর্ষণের মত কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে।