মোঃ মাহাবুব আলম
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ঢাকায় অবস্থিত অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাবলীগ জামাতের বিভাজন ও বিভাজনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকার, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
আমরা লক্ষ্য করেছি, গত ১৮ই ডিসেম্বর টংগী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত ঘটনা-পরবর্তী সময়ে দেশ জুড়ে মাও. সাদ অনুসারীরা ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিকভাবে আক্রমণের শিকার হচেছ।
এমনকি তাদেরকে অনেক মসজিদে স্বাভাবিক আমলও করতে দেওয়া হচেছ না। এধরনের অনাকাংখিত ঘটনা দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ইস্তেমা অনুষ্ঠান (ক্রম। আগে-পরে), কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বন্টন (১৪ দিন ও ২৮ দিন), দুপক্ষের বিদেশী মেহমান ও সর্বোচ্চ মুরুব্বীদের আগমন, পুরোনো সাথীদের পাঁচ (০৫) দিনের জোড় অনুষ্ঠান এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের মার্কাজ ও বিভিন্ন মসজিদে আমলের দিন ও সময় বন্টনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাও. সাদ অনুসারীরা বৈষম্যের শিকার হচেছ।
জননিরাপত্তা, শান্তি-শৃংখলা ও দেশের গতিশীল অগ্রগতির লক্ষ্যে এ সকল বৈষম্য নিরসন প্রয়োজন এবং তা নিরসনসহ ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে আমরা প্রধান উপদেষ্টা, সরকার ও সচেতন দেশবাসীর নিকট নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ উপস্থাপন করছি।
১. সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ
২. গত ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪, টংগী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা
৩. উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ কারাবন্দীদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া
৪ উভয়পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বীদের নিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া
৫. উভয়পক্ষকে কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন সমান করা, অর্থাৎ এক মাস এক মাস করা
৬. টঙ্গীর এস্তেমার মাঠ উভয়পক্ষকে সমানভাবে অর্থাৎ ছয় মাস ছয় মাস (জানুয়ারী – জুন; জুলাই- ডিসেম্বর) করে পাঁচ (০৫) দিনের জোড়, এস্তেমা ও অন্যান্য আমলের জন্য ভাগ করে দেওয়া
৭. দেশের অন্যান্য মসজিদে আমলের সময় সমবন্টন অর্থাৎ পনর দিন পনর দিন করা
৮. কোলপক্ষ মসজিদে আমলের সময় অন্যপক্ষকে বাধা না দেয়, তা পর্যবেক্ষন ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
৯. পূর্ব-মোখিত তারিখ (০৭-০৯, ফেব্রুয়ারী, ২০২৫) অনুযায়ী মাও. সাদ অনুসারীরাদের ইস্তেমা সুষ্ঠু ও সুশৃংখলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
আমরা উপরোক্ত বিষয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের নিকট আশু সমাধান কামনা করছি।