মো. শামীম হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আরামকাঠি শান্তিরহাট এক কিলোমিটার সড়ক পুনঃনির্মাণে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে চলছে রাস্তার কাজ। রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারে এলাকাবাসির কয়েকবার বাধার মুখে ইট ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এখন সেই ইটের খোয়া দিয়েই পূনরায় কাজ চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ কাজের দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস-কে-ম্যানেজ করেই রাস্তায় অনিয়ম করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
জানা গেছে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দক্ষিন জগন্নাথকাঠি(আমিরহাজী বাড়ী) থেকে শান্তিরহাট বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার মেইনটেনিংস পিচ ঢালাইয়ের কাজ পায় (মেসার্স ইশিতায়ক কনষ্ট্রাকশন)। যে কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে সাইত্রিশ লাখ টাকা। রাস্তার কাজে ভাল মানের ইট দিয়ে দুই ইঞ্চি খোয়ার পুরুত্ব সহ পিচ ঢালাইয়ের কথা রয়েছে। কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেই রকম না করে রাস্তায় নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার সহ সর্বত্র দুই ইঞ্চি খোয়া দেননি। রাস্তায় নিম্ম মানের খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করার কারনে স্থানীয়দের বাধায় কাজ বন্ধ থাকে কয়েকদিন। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করে সেই খোয়ার উপর বালু বিছিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করার পায়তারা চলছে। স্থানীয়রা ভাল মানের উপকরন দিয়ে অতিদ্রুত রাস্তার কাজ বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ মো: নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রাস্তার কাজে একবারেই বাজে ইটের খোয়া দেয়া হয়েছে। এমনভাবে কাজ চললে জনগুরুপ্তপূর্ন এই রাস্তাটি বেশিদিন টিকবেনা। আসছে বর্ষা মৌসুমে খুব সহজেই পিচ ঢালাই ধুয়ে যাবে।
ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলরত অটোচালক মো:জিহাদ অভিযোগ করেন, দীর্ঘ বছর রাস্তাটি খারপ অবস্থায় ছিল। এখন রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তবে রাস্তায় একেবারে নিম্মমানের ইটের খোয়া দিয়ে রোলার দেয়া হয়েছে। রোলারের ঢলায় সব ইট পাউডার হয়ে গেছে। এভাবে রাস্তার কাজ হলে কয়েক মাসের মধ্য রাস্তাটি আমাদের কোন কাজে আসবেনা। তার দাবি যেন ভাল মানের উপকরন দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়।
স্থানীয় মো: সিরাজ নামে এক ব্যাক্তির অভিযোগ, এই রাস্তার কাজে ভাল ইট ব্যবহৃত হচ্ছেনা। এমনকি কোন কোন স্থানে আধা ইঞ্চি দেড় ইঞ্চি খোয়া ধরা হয়েছে। আবার যে খোয়া ব্যবহৃত হয়েছে। তা খোয়ার পরিবর্তে রাবিশ ব্যবহৃত হয়েছে। তার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করে রাস্তায় অনিয়ম করা হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, রাস্তায় প্রথমে খারাপ খোয়া ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন ভাল খোয়া আনা হয়েছে। রাস্তার কাজ ভাল হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। আপনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার স্যারকে জিজ্ঞাসা করুন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাইসুল ইসলাম জানান, কাজের শুরুতে একটু খারাপ ইটের খোয়া ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন ভাল ইটের খোয়া ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা পূনরায় মাঠে গিয়ে তদন্ত করব।