শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
খুলনার ডুমুরিয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত, পোড়ানো এবং ইটভাটা প্রস্তুত ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন/২০১৩ (সংশোধিত/২০১৯) লংঘনের দায়ে আর ৭টি ইটভাটাকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩টি ভাটার চুল্লী নিষ্ক্রিয় করে বন্ধ করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা ধার্য্য করে এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল্লী নিষ্ক্রয় করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুর রহমান।
অভিযানে দন্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলো হল, উপজেলার কুলবাড়িয়া-বরাতিয়া এলাকায় অবস্থিত আব্দুল হাই বাহার’র মালিকানাধীন মেসার্স বাহার ব্রিক্স’র চুল্লী ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল্লী নিভিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন নুরজাহান ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, রানাই এলাকায় অবস্থিত মশিউর রহমানের মালিকানাধীন মেরী ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের মালিকানাধীন জে.বি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, আমিনুর রশিদের মালিকানাধীন লুইন ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, চহেড়া এলাকার গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকসকে ১ লাখ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের স্টোন ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, এবং জেসি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা মোট ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা করা হয়। এ সময় অধিকাংশ ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লীতে পানি ছিটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। ইট ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ দীর্ঘদিন উত্তীর্ণ হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ভাটা গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন খুলনা জেলা পরিবেশ দপ্তরের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ, পরিদর্শক মারুফ বিল্লাহ, এনফোর্সমেন্ট টীম, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।