নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার ১ নং রাজাপুর ইউনিয়নের বাইনারচরের শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজুল বাহিনীর নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাজুল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানা একাধিক মামলা রয়েছে,তবুও অদৃশ্য কারণে তাজুল বাহিনী ধরা ছোয়ার বাইরে আছে বলে জানান এলাকাবাসী।
রাজাপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানা যায়,তাজুল ইসলাম ওরফে বাইনার চরের তাজুল ও তার ভাতিজা ইব্রাহিম সরদারের তাদের নিজ বাহিনীর নেতৃত্বে মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজি লুটপাট বাড়িঘর ভাঙচুর জাগায় জমি দখল,চর দখল নদীতে চাঁদাবাজি এমন কোন অপকর্ম নাই যে,তাজুল ও ইব্রাহিম বাহিনীর নেতৃত্বে না হয়। এলাকায় সব ধরনের অপকর্মই এই বাহিনীর দ্বারা হয়ে থাকেন বলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান।
রাজাপুর এই বাহিনীর প্রধান তাজুল ইসলাম ও ভাতিজা ইব্রাহিম সর্দার এর নেতৃত্বে সম্প্রতি সময়ের কিছু ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, তাজুল বাহিনীর ভয়ে রাজাপুরের মানুষ এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। অত্র এলাকার মানুষ খুবই অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে। দক্ষিণ রাজাপুরের সাঈদ আলীর দোকানের সামনে একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে বিনা কারণে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাজুল ও তার বাহিনী কুপিয়ে রক্তাক্ত,জখম করে ফেলে রেখে যায়। রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হাওলাদার বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট,বাড়ির মহিলা শিশুসহ তাদের নির্যাতনে শিকার হয়।
রাজাপুর বাজারে আব্দুর রাজ্জাক মৃধা নামক এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে,চাঁদাব টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে পরের দিন এসে মারধর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে নগদ টাকাসহ দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় দুলাল রাড়ী নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে জোরপূর্বক মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে ৫০,০০০ টাকা চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর মিঝি নামক এক ব্যক্তির জোরপূর্বক বাড়ি দখলের চেষ্টা করেন তাজুল ও ভাতিজা ইব্রাহিম সর্দার এর কাহিনী।
রাজাপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল বলছে,এই তাজুল বাহিনীর নির্যাতনে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তাজুল ও তার ভাতিজা ইব্রাহিমের নামে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও এক অদৃশ্য কারণে এই বাহিনী এলাকায় নির্বিঘ্নে অসহায় ও সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমরা সাধারণ মানুষ এদের কবল থেকে বাঁচতে চাই এবং এর প্রতিকার চাই ও প্রশাসন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জোর দাবি দ্রুত সময়ে এদেরকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও দাবি জানান ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
এ সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে,তাজুল ইসলাম ও ইব্রাহিমের সঙ্গে তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।