মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নানা ধরনের শীতকালীন শাকসবজি। সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দামও। প্রতিটি হাটে কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয় শীতকালীন শাক-সবজির কেনাবেচা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত শীতকালীন শাক-সবজিতে বাজারগুলো সয়লাব। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, শিম, টমেটো ও লাউসহ প্রতিটি সবজির দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় নেমে এসেছে অর্ধেক বা তারও কমে। শুধু কমছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রত্যেকটি সবজির দাম কমেছে। বেগুন ৫০ টাকা কেজি থেকে কমে এখন ৩০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা থেকে প্রকারভেদে ৩৫-৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা থেকে ২৪ টাকা, বাঁধা কপি ৫০ টাকা থেকে ৩০ টাকা,
শিম ৫০ টাকা ২৫ টাকা, মুলা দুই হালি ৩০ টাকা থেকে কমে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক ও লাউশাকসহ অন্যান্য শাকের দামও।
তবে নতুন আলু ও পেঁয়াজ বাজারে এলেও দাম রয়েছে আগের মতোই। আলু ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পৌর শহরের জগন্নাথপুর বাজারের ক্রেতা হেলেনা বেগম জানান, শীতকালীন বিভিন্ন সবজির দাম কমায় এখন কিছুটা বাজার করা সম্ভব হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ ও নতুন আলুর দাম কমছে না।
বাজারের বিক্রেতা আনিসুর রহমান জানান, দাম বেশি হওয়ায় সবজি এতোদিন তেমন বিক্রি হচ্ছিল না। অনেক সময় কাঁচা সবজি বিক্রি না হওয়ায় দোকানে নষ্ট হতো। দাম কমায় এখন বিক্রি বেড়ে গেছে। মোহাম্মদগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন বলেন,
বাজারে সব ধরনের শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম এখন ক্রেতাদের নাগালে। আমরা বাজারে সবজি বিক্রেতাদের ধন্যবাদ জানাই।