KAMRUL REPORTER .. কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদরখালী ব্রিজের নিচে প্যারাবনে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হল- চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালীর বাজারপাড়ার তাজুল ইসলাম (১৮), সজীব (২৫), টুটিয়াপাড়া এলাকার ছোটন (২৫) ও দাতিনাখালীর অমিত হাসান (২৫)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়ার বদরখালী থেকে ২ জনকে ও মহেশখালীর শাপলাপুর থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বদরখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কেউ এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখনও এজাহার দায়ের হয়নি। গ্রেপ্তারদের সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর শনাক্তের ভিত্তিতে তাদের আসামি করা হবে।
মনজুর কাদের বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরী এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি
জানা যায়, ওই কিশোরী রাতে বাঁশখালী বোনের বাড়ি থেকে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। গত রবিবার রাত ১০টার দিকে বদরখালী ব্রিজ থেকে মহেশখালীগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। পরে ব্রিজের ওপর গিয়ে গাড়ি নষ্ট হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে চালক অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয়। এ সময় চার যুবক মুখ চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে আট যুবক মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে সড়কে এসে চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।