1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
বগুড়ায় শিশু অপহরণের ১০ বছরেও সন্তানকে না পেয়ে দুখিনী মায়ের ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্সে ডাকাতি চট্টগ্রাম সিটিতে বিভিন্ন হোটেলে ফাঙ্গাস যুক্ত মাংস সংরক্ষণ হোটেল জামানকে জরিমানা তিন দফা: শহীদ মিনারে অবস্থান বিডিআর সদস্যদের রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ মনোমুগ্ধকর বিনোদন পর্যটন কেন্দ্র ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা শ্রমিক দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সওজের প্রকৌশলী মো : শাহে আরেফীনকে বরখাস্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নবান্ন অভিযান করেন শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ভারতীয় হাইকমিশনারের নীলফামারী জেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০২৫ সালের কমিটি গঠন

বগুড়ায় শিশু অপহরণের ১০ বছরেও সন্তানকে না পেয়ে দুখিনী মায়ের ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

 

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় শিশু অপহরণের ১০ বছরেও সন্তানকে না পেয়ে দুখিনী মায়ের ন্যায় বিচারের দাবীতে মানবন্ধন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিগত ইং ২৮/০৭/২০১৩ তারিখে নুরানী মোড়, বগুড়া আই.ভি ক্লিনিকে ২টি জমজ সন্তান প্রসব করেন জনৈক মোছাঃ তাজমিনা আক্তার, স্বামী মোঃ হেলাল উদ্দিন সহ উভয়ে ইটালি প্রবাসি। আই.ভি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ছেলে সন্তানকে চুরি করা হয় এবং সন্তানটি গাবতলী থানার, ঈশ্বরপুর গ্রামে আনোয়ার হোসেন এর কাছে বিক্রি করা হয়। পরে সে চুরিকৃত সন্তানের খোঁজ পায় নেপালতলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। গ্রাম পুলিশ দিয়ে শালিস এর ব্যবস্থা করে সেখানে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নেপালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান সাহেব আপোষ মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। অতঃপর চেয়ারম্যান সাহেবের সহযোগীতায় বগুড়া জজ কোর্ট নারী শিশু ট্রাইবুনাল-২ আদালতে ২০১৯ সালে মামলা রুজু হয়, যাহার মামলা নং-৫৬১৯। সেখানেও মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তীতে কোর্ট থেকে ডি.এন.এর আদেশ হয়। ডি.এন.এর নামে বগুড়া জেলা কারাগারে ২৫/০৩/২০১৯ তারিখে তাজমিনা আক্তারকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২৭/০৩/২০১৯ সালে ঢাকা কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা কাশিমপুর কারাগারে ৭ দিন রাখার পর ডি.এন.এ সম্পূর্ণ করানোর পর আবার কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখানেও ২ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। বগুড়া কারাগারে ১ দিন রাখা হয় তাজমিনা আক্তারকে এবং ১ দিন পর জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এদিকে ৩ মাস পর ডি.এন.এ রিপোর্ট আসে পজিটিভ। কোর্ট কর্তৃপক্ষ ডি.এন.এ রিপোটটি গোপনে জালিয়াতি করে, জালিয়াতি রিপোর্ট বাদীকে দেয় এবং নথিতে যুক্ত করে। রিপোর্ট সম্পর্কে বাদীর আইনজীবী কোর্টে নারাজি দিয়ে পুনরায় ডি.এন.এর জন্য ২০ হাজার টাকা জমা দেয়। ডি.এন.এর জন্য বিচারক একের পর এক আদেশ দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকেন। কিন্তু ডি.এন.এ করানো হয় না। গত ইং-০৯/০১/২০২২ তারিখে আবারোও ডি.এন.এর নামে বগুড়া জেলা কারাগারে কাস্টডিতে নেওয়া হয় বাদী তাজমিনাকে। পরে ১০/০১/২০২২ তারিখে ঢাকা ডি.এন.এ টেষ্ট অফিসে পাঠানো হয়। অফিস কর্তৃপক্ষ জানায় বাদীর ডি.এন.এর রিপোর্ট ১ম টাই পজিটিভ এবং বলা হয় ডি.এন.এ অফিস বন্ধ। ঢাকা ডি.এন.এ অফিস থেকে রিপোর্ট আবারোও বগুড়া কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে বাদী ১১/০১/২০২২ তারিখে জামিনে মুক্তি পায়। অতঃপর বাদী পজিটিভ রিপোর্ট এবং বাচ্চা নেওয়ার পিটিশন দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট আদালতে। বাদীকে সন্তান না দিয়ে পিটিশন এবং রিপোর্টসহ ফেরত দেওয়া হয়। এবার বাদী জাবেদা নেওয়ার জন্য পিটিশন দাখিল করে। কিন্তু কোর্ট থেকে বিচারকের নির্দেশে জাবেদা দেওয়া হয়নি। বাদী নিরুপায় হইয়া তার নিযুক্তীয় আইনজীবীর ডাইরী থেকে আদেশের তারিখগুলি নিয়ে কম্পিউটার থেকে কম্পোজ করে ঢাকা হাইকোর্টে এনেক্স-১৩ কোর্টে রিট মামলা করে। রিট মামলার শুনানী ১২/১২/২০২২ তারিখে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। তৎপর ১৪/১২/২০২২ তারিখে মামলার নথি নিয়ে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারকের নিকট হাজিরার তারিখ ধার্য্য হয়। বিচারক নথিতে নেগেটিভ রিপোর্ট দায়ের করে। পরে হাইকোর্টের আইনজীবী ডি.এন.এ অফিস থেকে পজিটিভ রিপোর্ট সংগ্রহ করে গত ইং ১৫/১২/২০২২ তারিখে রিট মামলার শুনানী করেন। তারই প্রেক্ষিতে গত ০২/০১/২০২৩ তারিখে আদেশের তারিখ ধার্য্য হয়। বাদীর ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবী বিষয়টি গোপন রেখে গত ২৮/১২/২০২২ তারিখে রাত ৯.০০ ঘটিকার সময় বগুড়ার এ্যাডভোকেট রনি নিজ বাসায় ফোনে বাদীকে ডেকে নিয়ে ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত অনেক ভয় ভীতি দেখায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এমনকি বাদীর বগুড়া জজ কোর্টের আইনজীবীকেও ফোনে হুমকি দেয়। তারই সুযোগে বাদীকে না জানিয়ে ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবীরা এনেক্স ১৩ কোর্টের-১৫২৬৫ নাম্বার রিট মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ঐ দিনই ফোনে জানায় আপনার মামলাটি বিচারক খারিজ করে দিয়েছে। তখন বাদী নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টের আইনজীবীকে বলেন আমার খারিজের আদেশটি দয়া করে পাঠাইয়া দেন। সুকৌশলি হাইকোর্টের আইনজীবি বাদীকে বলেন আদেশের কপি ৩ মাস পরে পাবেন। বাদী ২০ দিন পর বগুড়ার জজ কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আদেশের কপি আসে নাই। বাদী নিরুপায় হইয়া ঢাকা হাইকোর্টে যাইয়া আদেশের জাবেদা কপি উঠাইয়া লয় এবং জানতে পারে মামলাটি খারিজ হয় নাই। কিন্তু রিট মামলাটি ঢাকা হাইকোর্টের আইনজীবীরা প্রত্যাহার করে নিয়াছে। উক্ত বিষয় লইয়া বাদী জানিতে পারে বগুড়া নারী শিশু, ট্রাইব্যুনাল-২ কোর্টের পি.পি মোঃ আশিকুর রহমান সুজন, নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর সকল কর্মচারী এবং আই.ভি ক্লিনিকের ডাক্তার নার্স সহ কর্তৃপক্ষের সবাই জড়িত। উক্ত মামলায় সর্বমোট ৬টি জালিয়াতি করা হয়েছে (১) আল্ট্রাসনোগ্রাম (২) প্রেসস্ক্রিপশন (৩) ডাবল স্ট্যাম্প (৪) ডি.এন.এ (৫) নথি থেকে অনেক পজিটিভ কাগজ (৬) রিট মামলা বাদীকে না জানিয়ে প্রত্যাহার করা। উক্ত মামলার ৬টি বিষয়ে জালিয়াতি করে আসামী জামিনে বুক ফুলিয়ে ঘোরাফেরা করে আর বাদী কাস্টডিতে থাকে। এত হয়রানির পরেও বাদী তার বাচ্চা ফিরে না পাওয়ায় সন্তান না পাওয়ার বেদনায় ৩১/১০/২৪ ই তারিখে বগুড়া জেলা পরিষদের সামনে থেকে বাদীর চুরিকৃত ছেলে সন্তানকে আসামীর কাছ থেকে বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় ১ সপ্তাহ থাকার পর আসামী পক্ষের দালাল মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ বাবলু, মোঃ রফিক ও ডাঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ আমজাদ হোসেন লুদু’র সহযোগিতায় বগুড়া সদর থানার ওসি মোঃ মইনউদ্দিন এর নির্দেশে এবং চুরিকৃত সন্তানকে পুনরায় এসআই মোঃ রাজিব হোসেন, মোঃ শহিদুল এর দ্বারা গ্রেফতার করে থানায় নিয়া যায়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সদর থানার ওসি জিজ্ঞাসা না করে মামলা সম্পর্কে না বুঝে চুরিকৃত সন্তানটি আসামীর হাতে উঠিয়ে দেয় এবং বাদীকে অন্য রুমে বন্ধ করে রেখে শরীরে বোরখা, হিজাব, ওড়না, সব খুলে সারা রাত খালি ফ্লোরে রাখে। পরের দিন ০৭/১১/২০২৪ তারিখে বেলা ১১.০০ ঘটিকায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চালান দেয়। কোর্টে হাজির হওয়ার পার ম্যাজিসস্ট্রেট বাদীকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। বগুড়া কারাগারে ১৫ দিন থাকার পর বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৩/১১/২০২৪ তারিখে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস কেস শুনানী শেষে বাদী ২০/১১/২০২৪ তারিখে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শাহজাহান কবির ডি,এন, এ পজেটিভ রিপোর্ট দেখার পর জামিন দিয়ে বাদীর পক্ষে আদেশ দেন। বর্তমান অবস্থায় বাদী অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ ও দেশবাসি এবং সাংবাদিক ভাইদের কাছে সঠিক বিচার পাওয়া সহ চুরি যাওয়া শিশু সন্তানকে মায়ের বুকে ফিরিয়ে পাওয়ার ন্যায় বিচারের দাবি জানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি