আজ ৮ই জানুয়ারী বুধবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স এন্ড হেল্পার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে, এবং রাজ্য সম্পাদিকা মাধবী পন্ডিতের নেতৃত্বে, বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নবান্ন অভিযানের জন্য।
বেলা একটার সময় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল বেরিয়ে রানী রাসমণি এ্যাভিনিউ এর উদ্দেশ্যে সারিবদ্ধ ভাবে মিছিল পোস্টার হাতে এগিয়ে আসলে, ঠিক কর্পোরেশন এবং নিউমার্কেট থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন, কোনভাবেই তাদের মিছিল রানী রাসমণিতে পৌচাতে দেননি,
সকল অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা ও কর্মীরা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এবং রাস্তা আটকে বসে যান, তাহারা জানান ,আমরা যতক্ষণ না মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নবান্নে পৌঁছাতে পারছি , আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব, আমরা আজ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে ছাড়বো। শুধু তাই নয় তারা প্রশাসনকে আক্রমণ করে বলেন, , এতদিন আমরা কোথায় ছিলেন, যখন কোন কিছু ঘটে তখন দেখা পাওয়া যায় না, আর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের ব্যারিকেড করে আটকে দিলেন। কিন্তু যখন প্রয়োজন আপনাদেরকে পাওয়া যায় না। যদি আপনারা যেতে না দেন, তবে আমরা আরও বৃহত্তম আন্দোলন করবো কয়েক হাজার অঙ্গনওয়ারী কে নিয়ে।
বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর, যখন পুনরায় ব্যারিকেড ভেঙে নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে তৈরি হচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় প্রশাসনের আধিকারিকরা তাহাদেরকে আটকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এবং পাঁচ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তাহাদের দাবী…… দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকের, সাতজন আইসিডিএস কর্মীকে জোরপূর্বক বদলি নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
অবিলম্বে বাজারদরের সাথে, সবজি, ডিম ও জ্বালানির বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
মাসের প্রথমে বেতন, সবজি ও জ্বালানি বিল প্রদান করতে হবে।
সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি ও সরকারি কর্মীর ন্যায় বেতন প্রদান করতে হবে।
কোন আই সি ডিএস কর্মীকে দূরে বদলি করা চলবে না।
সরকারের ঘোষিত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও বাজার দর অনুযায়ী রিচার্জের টাকা দিতে হবে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে এবং আমাদের মাইনে বাড়াতে হবে।
এই সকল দাবীর ভিত্তিতে, কয়েকশো অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা ও কর্মীরা আজ জমায়েত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন, এবং তাহাদের দাবি পূরণের আর্জি জানালেন। যদি মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনা না করেন তাহারাও অতি অবশ্যই বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।
তাহারা জানান ডিম পতি সরকারি বরাদ্দ ৬ টাকা ৫০ পয়সা, বাজারদরে ডিম ৭ টাকা ৫০ পয়সা , ৫০ জন উপভোক্তা বিশিষ্ট একটি সেন্টারে মাসে গড়ে ১ হাজার ৪৬২ টাকা ঘাটতি হয়, আর জ্বালানি বাবদ মাসে ঘাটতি হয় ৪০০ টাকা। এই ঘাটটির টাকা আমরা কোথা থেকে পাব। সরকার কোন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ)