1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
বিদেশে চাকুরীর নামে ১৬ লাখ টাকা প্রতারণা, জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সংবিধান বিতর্ক ও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ- মোঃ আসাদুজ্জামান রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন ময়মনসিংহে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মত থানচি প্রেসক্লাবের মরণোত্তর গুণীজনদের সংবর্ধনা প্রদান: গোপালগঞ্জের বিসিক উদ্যোক্তা মেলা-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন চন্দ্রকোনার জাড়া গ্রামে সখের কাকাতুয়াকে বাঁচাতে গিয়ে, পুকুরে জলে তলিয়ে গেল যুবক উখিয়ায় ট্রাক ও বাইকের সং*ঘ*র্ষে নি*হ*ত ১ আ*হ*ত ২ নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার শাহজাদপুরে বাঘাবাড়ি মিল্ক ভিটার নতুন কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা

বিদেশে চাকুরীর নামে ১৬ লাখ টাকা প্রতারণা, জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার

গাজীপুর মহানগরীতে গরীব পরিবারের ৪ যুবক স্বপ্ন দেখছিলেন বিদেশ গিয়ে সংসারের অভাব ঘোচাবেন। এজন্য প্রতারক চক্রের প্রলোভনেই তাদেরকে ১৬ লাখ টাকা দেন। কিন্তু পরে এই প্রতারক চক্র সৌদিআরবে (বিদেশ) ৩ যুবককে না পাটিয়ে তাদের টাকা আত্মসাৎ ও ১ যুবককে অবৈধভাবে বিদেশ পাঠিয়ে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় প্রতারণার শিকার হয়ে এখন তারা সর্বশান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে জিএমপি সদর থানার রথখোলা ও পূর্ব চান্দনা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৩ যুবক ও তাদের পরিবারসহ জিম্মি হওয়া যুবকের পরিবারের লোকজনের আহাজারির দৃশ্য। বিদেশে যেতে না পেরে প্রতারণার শিকার হওয়া এই যুবকরা লাখ লাখ টাকা খুইয়ে বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতারণার শিকার যুবকরা হলেন- রথখোলা এলাকার হতদরিদ্র কাজী মোঃ মিলন মাহমুদের ছেলে কাজী মেহেদী হাসান (২৯), মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ মাজারুল ইসলাম (২৮), পূর্ব চান্দনা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ লাল চাঁন (২২) এবং বর্তমানে সৌদি আরবে আটক মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলে রমজান (২৯)। প্রতারনার শিকার চার যুবকের পক্ষে কাজী মোঃ মিলন মাহমুদ প্রতারক সদস্যের ৪ জনকে আসামী করে ২০১২ সনের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনসহ দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারা বিধান মতে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর থানার লোহাগাছ এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ রিফাত খান সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। সে এই প্রতারক চক্রের প্রধান। তার সহযোগী- তার স্ত্রী নাজমা ও ভাই রিয়াদ, মোঃ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে মাহিন (২৩), বদরুল ইসলামের ছেলে মোঃ তারেক (২৩)। কয়েক মাস আগে এই ৪ যুবককে সৌদি আরবে যাওয়ার প্রলোভন দেন এই চক্রের সদস্যরা। সরল বিশ্বাসে এই প্রতারক চক্রকে ওই যুবকরা আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রত্যেকে ৪ লাখ টাকা করে, মোট ১৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর প্রতারক চক্রের প্রধান রিফাত ৪ যুবকের মধ্যে ১ যুবক রমজানকে চাকুরীর ভিসা ব্যতীত অবৈধভাবে সৌদি আরবে নিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণা এবং পাসপোর্ট ব্লক করে। এই যুবককে দেশে ফিরিয়ে আনতে তার পরিবার চক্রের অন্য সদস্যদের চাপ প্রয়োগ করে। তারপর রিফাত এই যুবককে জোরপূর্বক আটক রেখে তার পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। বাকি ৩ যুবক টাকা ফেরত চাইলে চক্রের সদস্যরা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ভূক্তভোগী যুবকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগী থানায় এজাহার দায়ের করলেও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪, পিআরবি ২৪৪ (ক) ধারার আইন লঙ্ঘন করে পুলিশ এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নেয় নি। ফলে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার এই ৪ যুবকের পরিবার।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এজাহারকারী বাদী সহ অন্যান্য তিন যুবকরা জানান, তারা প্রতারণার শিকার হয়ে টাকা ফেরত চাইলেও পাচ্ছে না। এমনকি থানায় এজাহার দায়ের করেও কোনো সুফল পান নি। এমনকি উনারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মামলা নিতে বাদী অনেক বার থানায় গিয়ে অনুরোধ করলেও প্রতারক চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অনীহা পুলিশের।
এএসংক্রান্তে প্রতারক চক্রের সদস্য তারেকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি ১ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। চক্রের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এবিষয়ে তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার এসআই সাহেব আলীর সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, উক্ত বিষয়টি তদন্তধীন, তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতারক চক্রের বিরূদ্ধে মামলা নেওয়ার বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের কাছে জানতে উনার মোবাইল নম্বরে ফোন করে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে উনি ফোন রিসিভ করেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি