মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকার উপজেলা সদরে নলজুর নলজুর নদীর পার্শ্ববর্তী খাদ্যগোদাম সংলগ্ন পুরাতন সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মানে দীর্ঘ বছর যাবত কাজ খুব একটা এগোয়নি। মানুষের চলাচলের জন্য নির্মানাধীন সেতুর পাশেই তৈরি করা হয়েছে বিকল্প একটি বাশের সেতু। বিকল্প বাশের সেতু দিয়ে ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এঅবস্থায় নির্মানাধীন সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবী উপজেলাবাসীরা। স্থানীয়রা জানান, বাশের সেতুটি নির্মানের কয়েকমাসের মধ্যেই ভেঙে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। দুই পাশের অনেক জায়গার বাশ ভেঙে সরে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়েই এখন সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছে। অন্যদিকে বছর অতিবাহিত হলেও নতুন আর্চ সেতু নির্মাণকাজের তেমন অগ্রগতি নেই। সেতুর পাশে বসবাসকারী স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বাশের সেতু দিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ চলাচল করে। নদীর দুপাশে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিদিন কয়েক শ শিক্ষার্থী এখান থেকে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক মাস হলো সেতুটিতে চলাচল অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সেতুটির কিছু কিছু জায়গা ভেঙে গেছে। এতে পারাপারের সময় ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এ ছাড়া বাশের সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী বারবার বিকল্প সেতুটি মেরামতের দাবি জানালেও কানে তুলছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জগন্নাথপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাজী সোহেল আহমদ খান টুনু জানান, নির্মানাধীন সেতুর পাশে বর্তমান বাশের সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়েছে। এই ভাঙা বাশের সেতু দিয়ে ঝুকি নিয়ে পারাপারের সময় অনেকেই দুর্ঘটনার শ্বীকার হয়ে গুরুতর আহত হচ্ছেন। বাশের সেতুর দুই পাশে বিশেষ করে পশ্চিমাংশের একাধিক স্থান ভেঙে গেছে। তিনি জনস্বার্থে বাশের সেতুটি দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট।