স্টাফ রিপোর্টার
অবৈধ ভাবে ভারতের কয়লা খনিতে কাজ করতে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা জনিত কারণে বাংলাদেশী কয়লা শ্রমিক লোকমান মিয়া (২২) এর মৃত্যুবরণ করেছে।
নিহত কয়লা শ্রমিক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা বান্ধের হাটি গ্রামের মোহাম্মদ বকুল মিয়ার ছেলে।
শনিবার(১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা বান্ধের হাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারনা কয়লা খনির বিষাক্ত গ্যাসে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তবে ভারতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছে তা অস্বীকার করেছে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি।
স্থানীয় এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা গেছে, সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারি ও চোরাই কয়লা ক্রেতাদের প্ররোচনায় ভোরে লাকমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের খাসিয়াদের কয়লা খনিতে যায় কয়লা শ্রমিক লোকমান মিয়াসহ লোকজন। সেখানে কাজ করা অবস্থায় লোকমান মিয়া অসুস্থ হলে থাকে সাথে থাকা লিটন মিয়া ও অন্যান্য সহযোগিরা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। পরে লাকমা বাজারে শফিক ইসলাম নামে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে মারা যায়।
ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আবুল কালাম নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান,লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানিয়েছেন,ভারতে যায় নি সীমান্ত এলাকায় কাজ করা অবস্থায় লোকমান মিয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। সাথে থাকা লোকজন তাকে নিজ বাড়ী বন্ধেরহাটি নিয়ে আসে। বাড়ীতে অবস্থান করার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য মোটর সাইকেল যোগে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান,বর্তমানে তার লাশ নিজ বাড়িতে রয়েছে। কয়লা শ্রমিক টেকেরঘাট কয়লার ডেপোতে কাজ করতেন। এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। পুলিশী কার্যক্রম শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।