1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
শৈশবের বন্ধুদের প্রিয় কবিতা শোনালেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ঈশ্বরদীতে বিএনপি’র উদ্যোগে পুনঃরায় সংস্কার হলো শহীদ জিয়া মুক্ত মঞ্চ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্টের সহায়তা প্রদান কালিগঞ্জ উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কৃষকদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির উদ্দিন আহমেদ-কেরাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী মোঃ ইসহাক দুলালের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন গাজীপুরের টঙ্গীতে দুর্ঘটনা কবলিত একটি পাজেরো জিপ থেকে তিন বস্তা গাঁজা উদ্ধার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ তৃণমূলের প্রিয় নেতা নাদিম চৌধুরী কে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে দেখতে চাই বাগেরহাটের চিতলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার, স্থানীয়দের মিষ্টি বিতরণ আশাশুনি ৫নং ওয়ার্ড যুব বিভাগের কমিটি গঠন সভাপতি-মারুফ বিল্লাহ,সম্পাদক-রাসেল মনোনীত ধামইরহাটে ১৫০ গজ দূরত্বে সীমান্ত এলাকায় চলাচলের নির্দেশ দিলেন ইউএনও

শৈশবের বন্ধুদের প্রিয় কবিতা শোনালেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন পর স্কুলের সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন।
বন্ধুদের কাছে পেয়ে স্মরণ করিয়ে দেন ফেলে আসা দিনের কথা। শৈশবের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে যান।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাওলাদার হিমাগার লিমিটেড প্রাঙ্গণে শৈশবের বন্ধুদের আয়োজিত মিলনমেলায় উপস্থিত হন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শৈশবের বন্ধুদের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া বন্ধুদের স্মরণ করে বলেন, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুদ্দুস আমাদের মাঝে থেকে অনেক আগেই চলে গেছে। মনোয়ার চলে গেছে, যার সাথে সারাদিনে একবার দেখা না হলে খারাপ লাগতো। অনেকেই আমাদের কাছ থেকে চলে গেছে। যারা এখনো বেঁচে আছি, আমরা একটু বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। এই বাঁচাটা হচ্ছে নিজেকে অনুভব করা আমি আছি, আমি বেঁচে আছি।

তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সালাম, মোসাদ্দের, লতিফ, ডাক্তার কবিরকে সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। আমরা যারা বেশি ভাগ ঘর থেকে বের হয় না যেমন হুমায়ন স্যার, রবি দা এনারা ঘর থেকে বের হন না। তাদের আমরা আজ আবার ঘর থেকে বের করে নিয়ে এসে একসঙ্গে করার সুযোগ করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ। আজ সকালে বন্ধু আনিসুরকে দেখতে গিয়েছিলাম। একেবারেই শয্যাশায়ী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। জানি না আমরা কে কখন চলে যাব। কিন্তু যাওয়ার আগে অত্যন্ত আজকের দিনটা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যখন স্কুলে পড়ি খুবই দুষ্টু ছিলাম এবং গোবরান সাহেব ছিলেন আমাদের ক্যাপ্টেন। আমরা দুষ্টুমি করতাম আর ক্যাপ্টেন আমাদের নামে হেড স্যার রোস্তম আলী স্যাকে নালিশ করলেন। তার কিছুদিন পর হেড স্যার আমাদের সবাইকে ডেকে পাঠালেন। ঘরের ভিতরে লাইন করে দাড় করালেন এবং সবাইকে একটা করে বেত দিলেন। আমাদের সেই শৈশব ও স্কুলের জীবন আমি কখনই ভুলতে পারি না। আমার সবসময় মনে আমার সেই দিনগুলো যদি আমার ফিরে পেতাম।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার পরে বন্ধুদের সঙ্গে রংপুরে এক কাজে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা কি করব তাই ঠিক করলাম সিনেমা দেখবো। কিন্তু সিনেমা দেখার জন্য তখন আমাদের হাতে টিকেট ছিল না। তার পরেও ভিড় ডিঙ্গিয়ে টিকেটের ব্যবস্থা করে সিনেমা দেখেছি। এগুলো আমার কাছে এখনো মধুর স্মৃতি হয়ে আছে।

এ সময় কবিতা আবৃত্তির অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, একসময় আবৃত্তি করতাম এখন করি না বক্তৃতা করি। তারপরেও আমি চেষ্টা করব কবিতা আবৃত্তির। কারণ একসময় আমিও নাটক করেছি, রং মেখেছি, নাট্যগোষ্ঠী করতাম।

পরে তিনি তার প্রিয় কবিতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ আবৃত্তি করে শোনান বন্ধুদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি