মাসুদ রায়হান মনিরামপুর,যশোর, প্রতিনিধি,
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জিয়ালদা বিলে বোর চাষ করতে পারছেনা এই বিলের কৃষকেরা। যার ফলে হতাশা আর দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে হাজার হাজার কৃষক। কৃষক নিছার আলী বলেন এখনো অনেকের উঠানে পানি আর বিলের মৎস্য ভাইয়ের বেড়িবাঁধের উপর হাটু পানি বা কোথাও কোমর পানি এই শুকনো মৌসুমী এতো পানি কেন জানতে চাইলে বলেন আমাদের বিল সহ ২৭ বিলের পানি নিস্কাসনের জন্য ডায়ের খাল নামক সুইস গেট গিয়ে পানি নিস্কাসন হয়ে থাকে কিন্তু সেই গেইট দিয়ে যে পরিমান পানি নিস্কাসন হচ্ছে তাতে আগামী চৈত্র বৈশাখ মাসেও আমাদের বিলের পানি সরবে কিনা সন্দেহ আছে।
বিলে অতিরিক্ত পানি আর ডায়ের খাল নামক সুইস গেট গিয়ে পানি না ভালো করে না সরার কারনে এবছর আমার আমাদের জিয়ালদা বিলে বোর চাষ করতে পারছি না ফলে আমাদের বিলের চারপাশের জমির মালিক সহ সকল কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা আর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদিন বন্যায় মৎসঘেরের মাছ চাষে লক্ষ লক্ষ টাকা লস এখনো পর্যান্ত মৎস্য ঘেরে কেউই জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারছি না ঘেরর বাধের উপর পানি থাকার কারনে অন্য দিকে এবছর বোর চাষ করতে পারছি না এই দুই মিলে আমাদের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই। আগামী বছর যদি ঘরে ধান না তুলতে পারি তাহলে দিন কি ভাবে চলবে সেটা নিয়েই ভাবনা। ধান না হলে পশুখাদ্যের সংকট যেমন হবে তেমনি একটা বছর চাউল কিনে হতে হলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের কৃষকদের বিভিন্ন এনজিওর কাছে ঋণের বোঝা টানতে হবে। বিল জিয়ালদার চার পাশের লোকজনের জোর দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি অনতি বিলম্বে ডায়ের খাল নামক সুইস গেট গিয়ে যদি অথবা ঝিকর ডাম্গা ব্রিজের নিচে বাধ দিয়ে জিয়ালদা বিলের পানি নিস্কাসনের ব্যবস্তা করেন তাহলে আমারা হয়তো এবছর বোরো ধানের চাষ করতে পারবো আর আগামী একটা বছর স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারব তা না হলে আমাদের মরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলে মনেকরেন তারা।