বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই-আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড একটি ভয়াবহ কালিমা, যা জাতির বুকে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। অথচ, আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা এবং তার দলের কোনো নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনার জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনার ছাপ নেই। বরং, সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা উল্টো ড. ইউনুস ও ছাত্র সমন্বয়কদের দায়ী করে, নিজেদের কাঁধ থেকে দায় সরিয়ে ফেলতে চাইলেন।
তিনি অনলাইনে উপস্থিত দলীয় কর্মীদের উস্কে দিয়ে বললেন, ‘ধৈর্য্য ধর। তৈরি হও। এদের হারাতে হবে। দিন আসবে। সব জবাব দেব। জেগে উঠতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে। অন্যায়-অবিচার আর সহ্য করা হবে না।’ কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—এই অন্যায়-অবিচার কারা করছে? ৫৩ বছরের ক্ষমতার জঞ্জালে আওয়ামী লীগ নিজেই যে বারবার দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তার জবাব কে দেবে?
শেখ হাসিনা দলীয় বিত্তশালীদেরও আহ্বান জানিয়েছেন কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। অন্যদিকে, ড. ইউনুসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় ও বিচার নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু নিজের এবং দলের শত শত অন্যায় ও জুলুমের বিচার কি হবে না?
দেশবাসীর এখন সময় হয়েছে গভীরভাবে ভাবার—একটি রাজনৈতিক দলের নির্লজ্জতার মূল্য কতটা ভয়াবহ হতে পারে। যারা আওয়ামী লীগ চায়, তাদের ভাবতে হবে, এই দলটির হাতে কি গণতন্ত্র নিরাপদ কখনো ছিল? শেখ হাসিনার চলমান ষড়যন্ত্র রুখতে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করা প্রয়োজন। নতুবা, স্বাধীনতার এই অর্জন হয়ে উঠবে কেবলই একটি তিক্ত ইতিহাস।
মো: তানজিম হোসাইন
শিক্ষক ও সাংবাদিক