১২ তারিখ থেকে MPO-ভুক্ত শিক্ষকরা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট ও ন্যায্য—সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ। কিন্তু এই সহজ এবং মানবিক দাবিগুলো পূরণে বছরের পর বছর ধরে চলছে প্রতারণা ও অবহেলা।
শিক্ষকদের ন্যূনতম বেতন মাত্র ১২,৫০০ টাকা। বাড়ি ভাড়া ১,০০০ টাকা ও চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। এই নগণ্য অর্থে কি একজন মানুষ মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর সরকার জানে, মন্ত্রীরা জানেন—তবু তারা বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষক সমাজকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিবারই আশ্বাসের জাল বুনে শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
শিক্ষকরা আজ বেঁচে থাকার জন্য, মর্যাদার জন্য লড়ছেন। তারা যেকোনো দল বা মতের হোন না কেন, যারা শিক্ষকদের স্বার্থে কথা বলবে, তাদের পাশে দাঁড়াব আমরা। কারণ এই লড়াই কোনো রাজনৈতিক স্বার্থের নয়, এটি জাতির সম্মান ও ভবিষ্যৎ বাঁচানোর লড়াই।
শিক্ষকদের মান-মর্যাদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর চাই না। ন্যায্য অধিকার আদায়ের এই লড়াইয়ে আপোষের কোনো সুযোগ নেই। আজ যদি শিক্ষকরা তাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন, তবে আমরা জাতি হিসেবেও ব্যর্থ হয়ে যাব।
সরকার কি এবার শিক্ষকদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে তাদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে? নাকি আবারও প্রতারণার নতুন অধ্যায় লিখবে? তবে এটুকু নিশ্চিত—শিক্ষকরা লড়ে যাচ্ছেন। কারণ তাদের ন্যায্য অধিকার আর কোনো আশ্বাসের দামে বিক্রি হবে না।
মো: তানজিম হোসাইন,
শিক্ষক ও সাংবাদিক