1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের বীরত্ব গাথা - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত শফিকুল ইসলাম শফিক ঢাকা মহানগর উত্তর জাসাস-এর যুগ্ম আহ্বায়ক নিযুক্ত মধুপুর বখাটে শিক্ষকের প্রেমের প্রতারণায় শিক্ষিকার মৃত্যু,বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শফিকুল ইসলাম মাস্টারের নির্যাতনময় সংগ্রামী জীবনের প্রতি পাঁচবিবি বাসীর কৃতজ্ঞতা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক হরিলুটের অভিযোগ ‎উল্লাপাড়া কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুর্তজা আলীর অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি ‘ক’ জোনের মাসিক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুমকি উপজেলার মুরাদিয়াতে ছেলের হাতে মা লাঞ্চিত সিংড়ায় আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চাল বিতরণ গোপালগঞ্জে মুখী ষ্টার এক্সপ্রেস বাস ও কভার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ড্রাইভার গুরুতর আহত

এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের বীরত্ব গাথা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

 

আজ আমার মেজোভাই বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রামের কৃতি ফুটবলার সাইফুল ইসলাম এর মৃত্যুবার্ষিকী। | ঐ সময়ের চট্টগ্রামে এই কৃতি তরুণ ফুটবলার ১৯৭৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের ষোলশহর রেল স্টেশনের সন্নিকটে চলন্ত ট্রেন এর সাথে ধাক্কা লেগে মর্মান্তিকভাবে আহত হয়ে ঐদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃস্বাশ তাগ করেন । যাঁরা তাঁর সম্পর্কে অবগত নন তাঁদের জন্য কিছু লিখা প্রয়োজন মনে করি।
সাইফুল ভাই স্কুল জীবন থেকেই ফুটবলার ও স্পোর্টসম্যান হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন | মৃত্যুর আগের মুহূর্তে তিনি ছিলেন প্রথম জাতীয় যুব ফুটবলের রানার্স আপ চট্টগ্রাম একাদশের ও চট্টগ্রাম প্রথম বিভাগের অন্যতম সেরা সিজিএমসিএল(ইস্পাহানি ক্লাব) এর এবং ঢাকার প্রথম বিভাগে উয়ারী ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড় | দুর্দান্ত সাহসী এক তরুণ বলে পরিচিত সাইফুল ইসলাম দেশের যেখানেই খেলতে গিয়েছেন সেখানেই চমক সৃষ্টি করে আসেন, কারণ তাঁর অদম্য ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে দর্শকরা সহসা মুগ্ধ হতেন, আর যেখানেই খেলতে যেতেন সেখানেই ক্রীড়া প্রেমীদের মুখে মুখে তাঁর নাম কয়েকদিন শুনা যেত | এভাবে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে | চট্টগ্রামের এমন কোনো অলি গল্লি ছিলোনা যেখানে তরুণরা সাইফুলের নাম জানতো না |
মানুষের বিপদে সাহায্যের জন্য নিজের জীবন এর ঝুঁকি নিতেও এই দুর্দান্ত বলে পরিচিত সাইফুল কুন্ঠাবোধ করতো না |
১৯৭১ এর ৭ ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা আসলো এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তি সংগ্রাম। সাইফুল ইসলাম মুরাদপুরে ষোলশহর এবং নাসিরাবাদ এলাকায় ছাত্র-তরুণদের নিয়ে ২৬শে মার্চের কিছুদিন আগে থেকেই ডামি রাইফেল ট্রেনিংয়ে অংশ নেন |
উল্লেখ্যে যে, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঘাঁটি ছিল আমাদের শহরস্থ মুরাদপুরের বাড়ির অত্যন্ত সন্নিকটে, মাত্র ৫০০-৬০০ গজের মধ্যে, ওই রেজিমেন্টের কমান্ড্যান্ট কর্নেল জানজুয়া থাকতেন মাত্র ২৫০-৩৩০ গজের মধ্যে আর ক্যান্টনমেন্ট ৩ মাইল দুরুত্বে| ২৬ মার্চ ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সেনারা বঙ্গবন্ধুর ওই রাত্রে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার খবর পেয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । জনগণের ঐক্য, সাহসিকতা ও প্রতিরোধ স্পৃহা দেখে মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সকল বাঙালী সেনা অফিসারেরাও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং পাকসেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয় । আর ওই ঘাঁটির আশপাশে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাড়ি গুলিতে বসবাসকারী কর্নেল জানজুয়া ও বেশ কিছু পাকসেনা অফিসারদের গ্রেফতার বা হত্যা করেন | ভোর থেকে শুনলাম সাইফুল ভাই সহ কয়েকজন মাইকযোগে বংগবন্ধু বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে মাইকিংয়ে অংশ নেন ।তাঁরা বাঙালি সেনাদের জন্য এলাকাবাসীকে খাবার নিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানান । বেংগল রেজিমেন্টের মেজর জিয়া সহ অন্যান্য অফিসারদের আমাদের এলাকায় কর্মস্থল ও আবাসন থাকায় তাদের সাথে এর আগে থেকে ছিল তাঁর যোগাযোগ ।
এই সময় ঘাঁটির নিকটবর্তী মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকা গোলাগুলি, আর্তনাদ ও হৈ চৈ এর শব্দে ভারী হয়ে যায়, আর এ এলাকাগুলির মুক্তি পাগল মানুষ গুলিও যার যা কিছু আছে তা নিয়ে বাঙালী সেনাদের সাথে যোগ দিয়ে পাকসেনাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন| ২৬ মার্চ ভোর থেকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার দিন থেকে আমার বড়ো ভাই নজরুল ইসলাম হারুন ও সাইফুল ভাই অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের খাদ্য সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন | ২৬শে মার্চ সন্ধ্যায় ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থেকে চালু হওয়ার পর মেজর জিয়াউর রহমান বংগবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । পাকবাহিনীকে সশস্ত্র প্রতিরোধ ও স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে প্রথম চট্টগ্রাম থেকে, তাও আবার চট্টগ্রাম শহরে আমার জন্ম স্থান ষোলশহর-মুরাদপুর-নাসিরাবাদ থেকে , এজন্য অবশ্যই গর্বিত ।
৭১ এর মার্চের শেষেরদিকে চট্টগ্রাম শহরের উপর পাকবাহিনীর প্রবল আক্রমণের কারণে নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম কয়েকদিন পর চলে যান বোয়ালখালী তাঁদের আমাদের বাড়িতে যেখানে আমরা স্বপরিবারে ইতিমধ্যে শহর ছেড়ে চলে এসেছিলাম।

সেখানে তাঁরা বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। আর আমার পিতা দিন রাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দেন। মরহুম বীর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ভাইয়ের ঐ সময়ের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ এর সেপ্টেম্বর মাসের দিকে বোয়ালখালীর কধুরখীলে মুক্তি প্রিয় মানুষের উপর নিপীড়নকারী সশস্ত্র রাজাকারদের উপর বোমা হামলা করতে গিয়েছিলেন তিনি এবং আর এক দুঃসাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এখলাস ।দুজনেই তখন নবম বা দশম শ্রেণীর ছাত্র। একজন ছিলেন এখলাস, কধুরখীল হাই স্কুলে পড়তেন। আর একজন সাইফুল ইসলাম, শহরের রহমানিয়া হাই স্কুলে পড়তেন। ঐ দিন বোমাটি রাজাকারদের উপর না পড়ে পাশের খালে পড়ে বিস্ফোরিত হয়।এখলাস ওই ঘটনায় সাথে সাথে গ্রেপ্তার হয়ে যান। সাইফুল ভাই প্রায় ধরাই পড়ে গিয়েছিলেন কিন্তু, ফুটবলার হওয়ায় কোনক্রমে তিনি দ্রুতগতিতে দৌঁড়ে নিজেকে বাঁচিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে
রাজাকার ও পাকসেনাদের নির্মম অত্যাচারে ঐ রাতেই শহীদ হয়েছিলেন এখলাস। স্বাধীনতার পরে বোয়ালখালীতে ইকবাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে শহীদ এখলাস পার্ক রাখা হয়েছিলো। আর বোয়ালখালীর এয়াকুবদন্ডী এলাকায় একটি সড়কের নাম করণ হয়েছে তাঁর নামে।

সাইফুল ভাই, বড় ভাই নজরুল ইলাম ওরফে সৈয়দ হারুন এবং আমাদের পিতা ডা: নূরুল হুদা নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে ছিলেন। আমাদের পিতা ডা: নূরুল হুদা চট্টগ্রামে মেডিকেল ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং পাক-ভারতের স্বাধীনতার পরে জিলা ছাত্রলীগের নেতা ও মেডিকেল স্টুডেন্ট লীগের সভাপতি ছিলেন । কাজেই চিকিৎসক হিসেবে ছাড়াও রাজনীতিক ও সামাজিক অংগনে তাঁর সুপরিচিতি ছিলো । মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁকে একজন জনপ্রিয় চিকিৎসক হিসেবে হত্যার উদ্দেশ্যে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়| এক বার তাঁর মুরাদপুরের বাড়িতে পাকসেনা ও বিহারি রেফিউজি রাজাকাররা হানা দিলে অল্পের জন্য বেঁচে যান | এরপরও তিনি বোয়ালখালীতে তাঁর কর্মকান্ড অব্যাহত রাখেন এবং এক পর্যায়ে তিনি সেখানেও টার্গেটে পড়ে যান পাকহানাদার এবং রাজাকারদের। যার কারনে তাঁকে আবারও বোয়ালখালী থেকেও সরে আসতে হয়েছিল চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই এলাকায় অবস্থান নেওয়ার জন্য। সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দিন রাত চিকিৎসা সেবা ও নানাভাবে সহযোগীতা করেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে|
মরহুম সাইফুল ইসলাম ইসলাম স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। কিছু দিন ছাত্র ইউনিয়নের সাথেও কাজ করেছিলেন । তখন ছাত্র সংগঠন ছিল মূলত এ দুটি এবং জাসদ পন্থী ছাত্রলীগ ।
আর একটি বিষয় হয়তো অনেকেই জানেন না। সুগন্ধা আবাসিক এলাকা চট্টগ্রামের একটি অন্যতম দামী অভিজাত আবাসিক এলাকা । আবাসিক এলাকা হওয়ার আগে, স্বাধীনতার আগে থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত এখানে শহরের আবর্জনা ফেলা হতো আর পুড়ানো হতো । এসবের দুর্গন্ধ পার্শ্ববর্তী এলাকার এমনকি নগরবাসীর জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, একসময় সহ্যের বাইরে চলে আসে । কিন্তু কারো কোন প্রতিবাদ নেই, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর কোনো দায়-দায়িত্ব বা সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই । এই প্রেক্ষিতে ১৯৭৫/৭৬ সালে সাইফুল ইসলাম এগিয়ে এসে তাঁর সাথী ও মুরাদপুর-কাতালগঞ্জ- শুলকবহর এলাকাবাসীদের নিয়ে প্রতিবাদ এবং ট্রাক থেকে আবর্জনা ফেলতে বাধা প্রদান করতে থাকেন । একদিন বাধা দেওয়ার সময় তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় জনসাধারণের প্রবল প্রতিবাদের মুখে সেটা ব্যর্থ হয়ে যায় । এক পর্যায়ে তাঁর নেতৃত্বে তরুণদের বছরাধিক কালের কঠোর প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ( ততকালীন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি) বাধ্য হয় ওই স্থানে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে । পরবর্তীতে এই এলাকাতেই একটি বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠে যেটি এখন সুগন্ধা আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত । সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রামে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে এই সফল সংগ্রামটি করেছিলেন ।
একসময় বিভিন্ন ফুটবল টুর্ণামেন্টে বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁকে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় | তাঁর স্মরণে চট্টগ্রাম শহরে ও বোয়ালখালীতে অনেকবার হয়েছে ফুটবল টুর্নামেন্ট | চট্টগ্রাম শহরের হামজারবাগ প্রাইমারি, নাসিরাবাদ সরকারি ও রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি |

চট্টগ্রামের শতাব্দী গোষ্ঠী একটি অরাজনৈতিক ও ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, সাহিত্য ও সমাজকল্যাণ মূলক সংগঠন যার ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা। এর জন্ম লগ্ন থেকেই মরহুম সাইফুলের অবদান অনস্বীকার্য । বর্তমানে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ও ২য় বিভাগে এটির ফুটবল টিম আছে।

পরম করুণাময়ের কাছে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

লেখক : লন্ডন প্রবাসী, কমিউনিটি নেতা, চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি