শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
ডুমুরিয়ায় ভিয়েতনামী জাতের নারকেল উপজেলায় সফলভাবে চাষ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের তুলনায়। প্রতিটি গাছ বছরে ২৫০ থেকে ৩৫০টি নারিকেল দেয়।
রোপণের আড়াই বছরের মধ্যে চারা ফল ধরতে শুরু করে। প্রতিটি সবুজ নারিকেলে গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলি জল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এই জাতের দুই প্রকার রয়েছে। জাতের ফলন চার থেকে পাঁচ গুণ।
এটি একটি অর্থকরী ফল। এটি গ্লিসারিন, সাবান এবং চুল বুনতে ব্যবহৃত হয়। নারিকেল গাছের পাতা, ফুল, ফল, কাণ্ড এবং শিকড় অনেক ছোট-বড় শিল্পের কাঁচামাল। খড়, ঝাড়ু এবং আসবাবপত্র তৈরিতেও এই নারিকেল ব্যবহার করা হয়। নারিকেলের পানিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ থাকে।
নারিকেলকে স্বর্গীয় গাছ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ভিয়েতনামী ছোট জাতের নারিকেলের জন্য উপযুক্ত। তিনি আরও বলেন, এই নারিকেল সব জাতের নারিকে চাষ করে। গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলি জল পাওয়া যায়। বাণিজ্যিকভাবে নারিকেল চাষ করা সম্ভব হাফ ড্রাম, ছাদ এবং পুকুরের ধারে।
ভিয়েতনামের নারকেল আমরা সারা বাংলাদেশে চাষ করতে চাই। আমরা একটা প্রকল্প নিয়েছি। আমাদের হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করা হচ্ছে। এবং কৃষকদের চাহিদামত এটা সরবরাহ করা হয়।
এটা যাতে কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে রোপন করে এবং আমরা দেশের চাহিদা মেটাতে পারি। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় এই নারকেল চাষের উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ লবণাক্ত পানিতে অন্য কোন ফসল না হলেও নারকেল গাছ হয়। আমরা সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি-দেশিয় চাহিদা পূরণ করার পর আমরা বিদেশি রপ্তানী করতে চাই।