কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং
গত সোমবার রাত প্রায় নটা নাগাদ কালবৈশাখী ঝড় উঠেছিল। সুন্দরবনের হোগল-মাতলা নদীর সংযোগস্থল পুরন্দর এলাকায় সেই ঝড়ের দাপটে ডুবে গিয়েছিল পর্যটকদের একটি ভুটভুটি। কোন পর্যটক ছিলেন না। ডুবে যাওয়া অভিশপ্ত ভুটভুটি ‘এমবি মা সারদা’ তে ছিলেন চালক,হেলপার,রাঁধুনি,রাঁধুনির হেলপার ও ক্যাটারিং এর এক যুবক।ঝড়ের সময় ভুটভুটি উল্টে গেলেও তিনজন বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন।অপর দুজন জয়ন্ত সরদার ও বৃন্দাবন হালদার অভিশপ্ত ভুটভুটির মধ্যে আটকে পড়েন।
এরপর খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন অভিশপ্ত ভুটভুটি থেকে দুজন কে উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। আবহাওয়া খারাপ হওয়া বিলম্ব হয়। এমনকি নদীতে জোয়ার ভাটার জন্য সমস্যা হয়।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নদীবক্ষে তল্লাশির জন্য নামানো হয় ডুবুরি।উদ্ধার কার্য ত্বরান্বিত করার জন্য ঘটনাস্থলে হাজীর হন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল,ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক মিঠুন বিশ্বাস,বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার,ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীক রাম কুমার মন্ডল,বাসন্তী থানার আইসি অভিজিত পাল সহ একাধিক সরকারী আধিকারীক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তা।এমনকি বিপর্যয় মোকাবিলা টীম এবং এনডিআরএফ টীম নামানো হয়।১০০ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়।সমস্ত রকম চেষ্টাও বিফলে যায়। পাশাপাশি নদীতে মৃতদেহ কোথাও ভেসে না ওঠায় মনে করা হচ্ছে,অভিশপ্ত ভুটভুটির মধ্যে আটকে রয়েছেন নিখোঁজ দুজন।অন্যদিকে ১০০ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও দেহ উদ্ধার না হওয়ায় চরম উৎকন্ঠায় প্রহর গুনছেন নিখোঁজ জয়ন্ত সরদার ও বৃন্দাবন হালদারদের পরিবার। শনিবার সকালে ভাটার সময় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভুটভুটি টি নদীবক্ষ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে প্রশাসন।সম্ভব হয়নি।রবিবারও উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে বলে সুত্রের খবর। সেক্ষেত্রে উদ্ধার হতে পারে নিখোঁজ দুজনের দেহ।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন জঙ্গলে পর্যটকদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল ‘এম বি মা সারদা’ নামক ভুটভুটির।তার আগেই সোমবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে দুর্ঘটনা ঘটে।ভাগ্যক্রমে ভুটভুটিতে কোন পর্যটক ছিলেন না।