প্রতিবেদকঃ আলোকিত মানুষ চাই, শান্তি ও পরিবর্তনের শ্লোগান নিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সাহসী কলম সৈনিক ও সাহিত্যিক সাংবাদিক মুহাম্মদ রাসেদ বিল্লাহ চিশতী প্রতিষ্ঠা করলেন ইসলাম ধর্মের মর্মবাদী তাছাউফ শিক্ষা ও বাংলা সাহিত্য প্রসারে এক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সূফী সাহিত্য পল্লীগন পাঠাগার।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঘরোয়া ভাবে পার করলো এক অমৃত সুধার লড়াই। নোয়াখালী সদর উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নিজ গ্রাম বারাহীদিঘির পূর্ব পাড়ে শিবপুর মাজার শরীফ এলাকায় নানান প্রতিকূলতাকে ডিঙ্গিয়ে সূফী সাহিত্য পল্লীগন পাঠাগার নামে গণমানুষের বিদ্যানিকেতন খ্যাত একটি বাতিঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এই যেন মনুষ্য বোমার খানিকটা বিস্ফোরণ ঘটালো সাংবাদিক মুহাম্মদ রাসেদ বিল্লাহ চিশতী।
পাঠাগারটিতে রয়েছে বই পড়া ও বিনা মূল্যে বই নেওয়ার নিরাপদ ব্যাবস্থা। ২০১০ সালে ঘরোয়া ভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে কয়েক বছর পাঠাগারটি একটি পরিত্যক্ত ঘরে পরিচালিত হয়ে আসতে থাকে। ২০১৭ সালের ঘুর্ণিঝড় আইলানের আঘাতে পরিত্যক্ত ঘরটি উড়িয়ে গেলে নিজস্ব ঘরোয়া মাধ্যমে পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে। ২নং দাদপুর ইউনিয়নের ৫/৬ টি গ্রামের মধ্যে বিদ্যা শিক্ষার প্রচার প্রসারে মাধ্যম হিসেবে সেই অনুপাতে পাঠাগার নাই বিধায়
সূফী সাহিত্য পল্লীগন পাঠাগারটি কয়েকটি গ্রামের শান্ত সৃষ্ট তরুণ-তরুনী, পল্লী অঞ্চলের সরলা মহিলাদের কাছে বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সুফি সাহিত্য পল্লীগন পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ এই পাঠাগারটির ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। বর্তমানে সাধারণ আম জনতার স্বপ্নপূরণে এবং প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাঠাগারটিতে সার্বক্ষণিক পাঠক সেবা ও অন্যান্য সেবা প্রদান করার জন্য সরকারিভাবে ১টি “গ্রন্থাগার ভবন” করে দেওয়া, পাঠকদের জরুরি প্রয়োজনে ১টি ওয়াশরুম ও বিশুদ্ধ পানি পানে একটি করে টিউবওয়েল নির্মাণ করে দেওয়া, সরকারিভাবে বই অনুদানের জন্য জোড়ালোভাবে দাবি জানাচ্ছি।
বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের জন্যে প্রয়োজন ৬০ হাজার মানসম্মত পাবলিক লাইব্রেরি। কিন্তু আমাদের দেশে মাত্র ২ হাজারের চেয়ে কিছু অংশ বেশি রয়েছে। অভিজ্ঞজনদের মতে ঝর্নশীর্ণ এই পাঠাগারটির বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ নোয়াখালী জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে দেওয়া প্রয়োজন।
এতে করে গণপাঠাগারটিতে অঞ্চল ভিত্তিক পাঠকদের পছন্দ ও রুচি সম্মত বই পড়ার ও প্রাপ্তিতে সুবিধা হবে।