1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
ভান্ডারিয়া স্ত্রী-শাশুড়িকে খুনের পর মরদেহে আগুন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ওসি আফতাবের বিশেষ অভিযানে অধ্যাদেশ ০৫ জন আসামী গ্রেফতার আত্রাইয়ে কুরবানির চামড়া সংরক্ষণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লবণ বিতরণ  র‌্যাব-১২ এর অভিযানে বগুড়ায় হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার দুশ্চিন্তা ও অলস সময় কাটছে কামারদের এবার পাঁচবিবির কামারপাড়ায় নেই চিরচেনা সেই টুং টাং শব্দ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর পক্ষ থেকে রূপগঞ্জ বাসিকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আব্দুস সাত্তার কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহ দপ্তর সম্পাদক হলেন নোমান পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন সরকারি শ্রমিক কলেজ শাখার সদস্য সচিব হিমেল খাঁন ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলাউদ্দিন দেবাশীষ দাস অর্জন করলেন ‘বেস্ট ইন ব্র্যান্ড কমনিকেশন ২০২৪’ সম্মাননা ভালুকা ট্রাফিক পুলিশ ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে : টি আই পলাশ সাহা

ভান্ডারিয়া স্ত্রী-শাশুড়িকে খুনের পর মরদেহে আগুন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ শামীম হোসাইন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বাদল খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিহতরা হলেন- চম্পা বেগম (৩৫) ও তার মা বিলকিস জাহান (৭০)।

সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চম্পা বেগম মোহাম্মদ আলী খানের মেয়ে এবং বিলকিস জাহান তার স্ত্রী।

অভিযুক্ত বাদল খান ধাওয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া বাজারের মুদি দোকানী বাদল খানের সঙ্গে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের ২০ দিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে বাদল। চম্পাকে বিয়ের আগেও বাদল আরও তিনটি বিয়ে করে। তার নির্যাতনে শিকার হয়ে আগের তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।

সূত্র আরও জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী চম্পা বেগম ও বৃদ্ধ শাশুড়ি বিলকিস জাহানকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে মরদেহে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে ততক্ষণে বাদল পালিয়ে যায়।
নিহত চম্পা বেগমের ফুফাতো বোন নাছিমা বেগম জানান, বাদলের ১০ বছরের ছেলে ইয়াছিনের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমি বাদলের ঘরে ছুটে গিয়ে দেখি চম্পা বেগম ও তার মায়ের নিথর দেহে ঘরের মেঝেতে ফেলে কাপড়-চোপড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাদল তখনও ঘরে ছিল। প্রতিবেশীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় সে।

প্রতিবেশী ফাহিম সিকদার জানান, ঘরের মেঝেতে মা-মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে আমি থানা পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল কর্ডন করে রাখে।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার জানান, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে এ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি