1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
ভান্ডারিয়া স্ত্রী-শাশুড়িকে খুনের পর মরদেহে আগুন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
উলিপুরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিএনপির সাবেক নেতা আলমগীর বসুনিয়া গ্রেফতার শ্যামনগরে স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক উন্নয়ন (এবিসিডি) প্রশিক্ষণ দিনাজপুরের হিলিতে ট্রাকের ধাক্কায় এক মাদ্রাসা ছাত্রী নিহত বাগজানা ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মাসুদ রানা প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ অবৈধ বালু উত্তোলনরোধে যৌথ বাহিনীর অভিযান জামালপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত দিনাজপুর পলিটেকনিকে আইটি সাপোর্ট সার্ভিস প্রশিক্ষণ শুরু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বীরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন সানরাইজ ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তেরখাদায় তারেক রহমানের সহধর্মীনি ডাঃ জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়া অনুষ্ঠান

ভান্ডারিয়া স্ত্রী-শাশুড়িকে খুনের পর মরদেহে আগুন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ শামীম হোসাইন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বাদল খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিহতরা হলেন- চম্পা বেগম (৩৫) ও তার মা বিলকিস জাহান (৭০)।

সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চম্পা বেগম মোহাম্মদ আলী খানের মেয়ে এবং বিলকিস জাহান তার স্ত্রী।

অভিযুক্ত বাদল খান ধাওয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া বাজারের মুদি দোকানী বাদল খানের সঙ্গে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের ২০ দিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে বাদল। চম্পাকে বিয়ের আগেও বাদল আরও তিনটি বিয়ে করে। তার নির্যাতনে শিকার হয়ে আগের তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।

সূত্র আরও জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী চম্পা বেগম ও বৃদ্ধ শাশুড়ি বিলকিস জাহানকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে মরদেহে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে ততক্ষণে বাদল পালিয়ে যায়।
নিহত চম্পা বেগমের ফুফাতো বোন নাছিমা বেগম জানান, বাদলের ১০ বছরের ছেলে ইয়াছিনের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমি বাদলের ঘরে ছুটে গিয়ে দেখি চম্পা বেগম ও তার মায়ের নিথর দেহে ঘরের মেঝেতে ফেলে কাপড়-চোপড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাদল তখনও ঘরে ছিল। প্রতিবেশীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় সে।

প্রতিবেশী ফাহিম সিকদার জানান, ঘরের মেঝেতে মা-মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে আমি থানা পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল কর্ডন করে রাখে।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার জানান, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে এ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি