1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
বেদেনা লিচুর রপ্তানি  চান লিচু চাষীরা - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জ কারাগারের এক অসুস্থ – হাজতির মৃত্যু সাহায্যের জন্য আবেদন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সজন প্রিতীর কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ক্ষোভ চারশত পিস ইয়াবা নিয়ে বড়হাতিয়ার মাদক সম্রাট আটক আগামী ২৩ শে মে থেকে ২৫ শে মে পর্যন্ত, বেঙ্গল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ এর সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ফুলছড়ি ছয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে বারহাট্টায় দুই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের পরিবারের পাশে ইউএনও শাহজাদপুরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডা. আছমা সুলতানার ‎আব্দুল হালিম কে বাঁচাতে স্ত্রী দিতে চান কিডনি কিন্তু নেই প্রতিস্থাপনের কোনো অর্থ কুষ্টিয়া জেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বেদেনা লিচুর রপ্তানি  চান লিচু চাষীরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

 

কৌশিক চৌধুরী হিলি (হাকিমপুর)  প্রতিনিধিঃ

লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। চাষের জন্য উপযোগী বেলে-দোআঁশ মাটি হওয়ায় এই অঞ্চলে লিচুচাষে আগ্রহের কমতি নেই কৃষকের। এখানে চাষ হয় মাদ্রাজি, বোম্বাই, বেদানা, চায়না থ্রি, কাঁঠালি আরো অনেক জাতের লিচু। তবে বেদেনা জাতের লিচুকে বলা হয় ‘লিচুর রাজা’।

স্বাদ, গন্ধ, রস এবং মিষ্টতায় অনন্য এই লিচু এবার পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক জিআই পণ্যের স্বীকৃতি।

গত ৩০ এপ্রিল দিনাজপুরের বেদেনা লিচু জিআই পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। দীর্ঘদিনের এই স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত কৃষক ও বাগানমালিকরা। তবে তারা শুধু স্বীকৃতি নয়, লিচু বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ দেখতে চান। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য লিচু উৎপাদনে কাজ চলছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর ও বিরল উপজেলার মাধববাটি এলাকাকে বেদেনা লিচুর প্রধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে ধরা হয়। এই অঞ্চলের উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়া লিচু উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সরজমিনে মাসিমপুর এলাকায় দেখা গেছে, গাছের পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে, যেগুলোতে লালচে রং ধরতে শুরু করেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই লিচু পরিপক্ব হয়ে বাজারজাত শুরু হবে। মাঠপর্যায়ে এখন চলছে পরিচর্যা, পানি সেচ ও কীটনাশক স্প্রে।
বাগান মালিক রফিকুল বলেন, ‘বেদেনা লিচু স্বীকৃতি পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের। এতে বিদেশি আগ্রহ বাড়বে, দেশের সুনাম হবে, কৃষকেরাও লাভবান হবেন। তবে শুধু স্বীকৃতিতে সীমাবদ্ধ না থেকে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।’লিচুচাষি মহব্বত আলী বলেন, ‘স্বীকৃতি পাওয়াটা অনেক বড় অর্জন। লিচু রপ্তানি শুরু হলে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। কৃষি কর্মকর্তারা আরও সহযোগিতা করলে, মানসম্মত উৎপাদন বাড়বে।’
বাগানমালিক আসাদুল হক বলেন, ‘এখানে প্রতি পিস লিচু সাত থেকে আট টাকায় বিক্রি হয়, ঢাকায় একটু বেশি। বিদেশে রপ্তানি হলে এখান থেকেই ১১ থেকে ১২ টাকা দামে বিক্রি করতে পারবো। এতে আমরা লাভবান হবো, দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে। বাজারে লিচুর সরবরাহ বেশি হলে দাম পড়ে যায়, রপ্তানি হলে সে সমস্যা থাকবে না। হিমাগার নির্মাণ হলে আরও সুবিধা হবে।’ বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি