—তানজিম হোসাইন
২০২৪ সালের জুলাই, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক ভয়ঙ্করতম মাস। এই মাসে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে হত্যা করা হয় দুই হাজারের বেশি মানুষকে—ছাত্র, শ্রমিক, নারী, শিশু, সাধারণ নাগরিক—কেউ রক্ষা পায়নি। দিনের আলোয়, রাতের অন্ধকারে, গুম, গ্রেপ্তার, গুলি, পিটিয়ে হত্যা—সবই চলেছে এক পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায়।
এই ঘটনাকে কেউ সংঘর্ষ বলার চেষ্টা করে। কিন্তু এটা কোনো সংঘর্ষ নয়, এটা ছিল রাষ্ট্রীয় মদদে পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা। আর এই গণহত্যার মূল রাজনৈতিক ছায়া ছিল—আওয়ামী লীগ।
আজ প্রায় এক বছর কেটে গেছে। বিচার তো দূরে থাক, অধিকাংশ খুনি এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। কারো কারো ছবি দেখা যায় রাজপথে, সভায়, এমনকি টিভির পর্দায়। এই দায় কার? রাষ্ট্রের, নাকি আমাদের?
একটি প্রশ্ন এখন দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিককে তাড়া করে ফিরছে—যে সংগঠনের নাম গণহত্যার সাথে জড়িত, সেই আওয়ামী লীগ এখনো বৈধ কীভাবে?
আমরা যদি ১৯৭১-এ গণহত্যার বিচার চাইতে পারি, তাহলে ২০২৪-এর হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন থেমে থাকবে? এই দ্বিচারিতা আর চলতে পারে না।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু করতেই হবে।
এই দাবি দল বা মতের নয়—এই দাবি মানবতার, ন্যায়ের, ভবিষ্যতের।
আর আমরা যারা এখনও বেঁচে আছি, তাদের দায় একটাই—এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।