স্টাফ রিপোর্টার।।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুবলীগ নেতা পরিচয়ে শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলামের কাছ থেকে প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন শাহাদাত হোসেন হিরু।
কিন্তু অবৈধ সুবিধা না দেয়ায় এরপর থেকেই ঐ কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে শাহাদাৎ। নানা ট্যাগ দিয়ে তার তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক দিয়ে নিউজ করাবেন বলে হুমকি দিতে থাকে হিরু। পরে ৫ তারিখের পরে থেকে ভোল্ট পালটিয়ে নিজেকেই বড় সাংবাদিক হিসেবে জানান দেয় সে। এরপর আবারও শুরু করেন ষড়যন্ত্র। ফেসবুক সহ নানা মাধ্যেমে কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলামকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য রটানো শুরু করেন। কিন্তু কোন বিষয়ে সুবিধা করতে না পেরে তারা থাকার স্থান নিয়ে শুরু করেন নানা ষড়যন্ত্র।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমার জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবনে ৩ বছর বসবাসের পর সেটি বসবাসের অনুপযোগী ও পলেস্তার ধসে যাওয়ায় স্যার দের অনুমতি নিয়ে আমি সাময়িকভাবে কৃষি অফিসের অফিসে বসবাস শুরু করি। আমার ছোট ছোট দুই বাচ্চা আগের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। ফ্যান খুলে পড়ে গেছে কয়েকদিন। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করেছে।
তিনি বলেন, কোন বিষয়ে দোষ খুঁজে না পেয়ে যুবলীগ নেতা কথিত সাংবাদি হিরু আমার বসবাসের স্থান নিয়ে নানা রকম মিথ্যা ছড়িয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে।
আমি শরীয়তপুর জেলার সকল সাংবাদিক ও বৈষম্যহীন জনসাধারণের কাছে এই যুবলীগ নেতা, কথিত সাংবাদিক হিরুর বিচার দাবি করছি।
স্খানীয়রা জানায়, এর আগেও অন্যান্য লোকজনকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্থা করায় তার বিরুদ্ধে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছিলো। তাছাড়া এক নারীকে হেনস্থার অভিযোগেও তার বিরুদ্ধ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা হিরুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।
বিষয়টি নিয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ হাসান সেলিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।