1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
মোরেলগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র মাহফুজুরের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দুর্গাপুরে তিন ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগ পঞ্চগড়ে সাফ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের খেলা বড় পর্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রদল নেতা আবু তাহের, উন্নত চিকিৎসায় নওগাঁয় প্রেরণ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পানিহাটি চিড়াদধি মহোৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে আমাদের ভেতর কোনো ভেদাভেদ থাকবে না মংলায় কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম ‎জামায়াত ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে এ কথা শুনে একটি মহল ক্ষুদ্ধঃ পাইকগাছায় মানববন্ধনে অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় থানা পুলিশের অভিযানে ৫ জন গ্রেফতার হবিগন্জ বাস শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার

মোরেলগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র মাহফুজুরের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

 

নাজমুল, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের হরতকীতলা গ্রামের কিশোর ছাত্র মাহফুজুর রহমানের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার (১৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি তদন্তকারী দল মোরেলগঞ্জে পৌঁছায়। তবে মাহফুজুরের পরিবারের লিখিত আপত্তির কারণে মরদেহ উত্তোলনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ছাত্র-কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান মিরপুর আলহাজ্ব আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজুর রহমান। ঘটনার প্রায় নয় মাস পর মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মাহফুজুরের পরিবার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিতভাবে মরদেহ উত্তোলনের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মোরেলগঞ্জ’ শাখার পক্ষ থেকেও লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুদ্দোজা বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের লিখিত আপত্তি পাওয়ায় কার্যক্রমটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার (মামলা নম্বর: ৩২; তারিখ: ১৪ ফেব্রুয়ারি) তদন্তের অংশ হিসেবেই আদালত মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ডিএমপির এসআই তরিকুল ইসলাম ও এসআই মো. রুহুল আমিন। তাঁদের সহায়তা করেন মোরেলগঞ্জ থানার এসআই মো. তৌহিদসহ একটি স্থানীয় পুলিশ দল।

ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাহফুজুর রহমান “Brought dead with gunshot,” অর্থাৎ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর পরদিন ২০ জুলাই পোস্টমর্টেম ছাড়াই শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে মাহফুজের মরদেহ বুঝে নিয়ে তার পিতা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরে তাকে রাত পৌনে ১১টার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাশের মাথায় ব্যান্ডেজ, মুখে ফ্যাকাশে ভাব এবং শরীরে রক্তের দাগ স্পষ্ট ছিল।

মাহফুজুরের পরিবারের দাবি, তিনি একজন শহীদ, যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন। তাই মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি তারা মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না এবং মর্যাদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই তাদের আপত্তি।

উল্লেখ্য, মাহফুজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনাটি সারা দেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি