মোঃ শামীম হোসাইন
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ২০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ লাখ চিংড়ি মাছের রেণু জব্দ করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
শনিবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার টগড়া ফেরিঘাটা এলাকা থেকে গলদা ও বাগদা চিংড়ির ১০ লাখ রেনুপোনা জব্দ এবং পোনাবহনকারী ২১টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার আলী আজিম খানের ছেলে মো. সেলিম খানকে (৪৮) একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পিরোজপুর জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সমীরণ হালদারের নেতৃত্বে একদল ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার টগড়া ফেরিঘাটা এলাকা থেকে গলদা ও বাগদা চিংড়ির ১০ লাখ রেনুপোনা জব্দ করেন এবং পোনাবহনকারী ২১টি মোটরসাইকেল আটক করেন। তারা ৮৮টি ড্রামে ভরে রেণুপোনাগুলো বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থেকে বাগেরহাটে নিয়ে যাচ্ছিলো। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌফিক আনোয়ার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলামের (অ. দা.) উপস্থিতিতে রেণু ব্যবসায়ী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার আলী আজিম খানের ছেলে মো. সেলিম খানকে (৪৮) ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২১টি মোটরসাইকেলকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। জব্দ রেণুগুলো কঁচা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “এইভাবে গলদা রেনু আহরণের সময় নদী থেকে প্রায় ২০০ প্রজাতির অন্যান্য মাছের রেনুও ধ্বংস হয়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদের মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি, না হলে একসময় আর মৎস্য সম্পদ খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌফিক আনোয়ার জানান, অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে রেণু বহন করার অপরাধে একজনকে একমাসের কারাদণ্ড এবং ২১টি মোটরসাইকেলকে ৫০০ টাকা করে মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দ রেণুপোনাগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।