কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
লোহাগাড়ার চুনতি সাতগড় গ্রামের লম্বাশিয়া এলাকায় সংরক্ষিত বনের পাহাড়ের পাদদেশে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন এই বালু খেকোদের সাথে সাতগড় বিটের কর্মচারী সালাউদ্দিন এবং জিতুর সাথে অবৈধ বালু ও মাটি খেকোদের সাথে রয়েছে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাই কোনো ভাবেই থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন এবং মাটি কাটার মহোৎসব। বালু উত্তোলন পাহাড় কাটার মত মহোৎসব কোন ভাবেই থামছে না। জিতু এবং সালাউদ্দিনের সাথে মুখোমুখি হলে তারা বলেন আমরা যতভড় অপরাধ করিনা কেন আমাদের বদলি করা হবে এছাড়া আর কোন শাস্তি হবেনা আর আমরা যেইখানে যায় আমাদের কার্যক্রম চলবে আমরা আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের মেনেজ করে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি এবং যাব আর আপনাকে কত দিতে হবে বলেন শুধু শুধু বিরুদ্ধ সৃষ্টি করে লাভ কি আমাদের কার্যক্রম আপনি একজনের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব হবেনা শুধু শুধু বিরুদ্ধ না করে আশুন সভায় মিলে কার্যক্রম চালিয়ে যাই বলে প্রস্তাব দেন সালাউদ্দিন এবং জিতু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন কর্মকর্তা বলেন এই ঘুষের বানিজ্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে শুধ শুধু প্রতি হিংসা ভাঁড়িয়ে লাভ কি। বুধবার সরেজমিন লম্বাশিয়া এলাকায় ৫টি পাহাড়ের পাদদেশে ছড়ায় ৭টি শ্যালো মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মেশিন বন্ধ করে ছটকে পড়েন বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। এছাড়াও আরও ১৫টির অধিক পাহাড়ে বালু উত্তোলনের ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। জানা যায়, 2025 সালের 15 মে লম্বাশিয়ার সংরক্ষিত বনের ছড়া ও পাহাড় ভেঙে বালু পাচার বন্ধ করতে একাধিকস্থানে রাস্তা কেটে দেয় উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উপরস্থ কর্মকর্তারা। ফলে কয়েক মাস বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল আবারো সালাউদ্দিন ও জিতুর সমন্বে আবারো শুরু করেছে বালু উত্তোলন এবং মাটি খেকোদের মহোৎসব। চলতি বছরের শুরুতে একটি মহল কর্তন করা রাস্তা মেরামত করে পুনরায় একই স্থান থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন বন্ধ করে। এ সময় কাটা হয় বালু পরিবহণের ৫টি রাস্তা। অভিযানের পর কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও আবারও কেটে দেওয়া রাস্তা সংস্কারপূর্বক বালু উত্তোলন শুরু করে প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় পরিবেশকর্মী সানজিদা রহমান বলেন, পাহাড় কাটার সঙ্গে স্থানীয় সিন্ডিকেট ও প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে এদের ঠেকানো মুশকিল হবে। চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, লম্বাশিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে তো হবে না। আমাকে আরও অনেক কাজ করতে হয়। বনবিভাগের জনবল সংকট। আমাদের শক্তি আছে মামলা দেওয়ার মামলা দিচ্ছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, বনবিভাগ দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখলে লম্বাশিয়া এলাকার একটি পাহাড়ও রক্ষা করা যাবে না।