রাসেদ বিল্লাহ চিশতীঃ নোয়াখালী সুধারামে ওয়াকফ স্টেটের কার্যালয়ে হামলা, তালা ভেঙে চুরমার ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী মোতাওয়াল্লী মোঃ জান্নাত হোসেন বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, (১৪ মে) বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্তরা সদর উপজেলার ১৯নং চরমটুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জগতপুরে মরহুম হানু মিয়া ওয়াকফ স্ট্রেট (ই সি নং: ১৭৯৯৯) কার্যালয়ে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ওয়াকফ স্টেট সম্পত্তির মূল্যবান দলিল দস্তাবেজ, কার্যালয়ের বিভিন্ন কাগজপত্রাদি, বইসহ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ওয়াকফ স্টেটের ৫টি সাইনবোর্ড ভাংচুর করে অফিস কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
লুটপাটের ঘটনায় ওয়াকফ স্টেটের কর্মচারী মামলার ১নং সাক্ষি রুবেল ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা তাকে প্রানে হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়।
অভিযুক্তরা এ-র আগেও ওয়াকফ স্টেটের ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৫টি বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে প্রকাশ্যে লুট করে নিয়ে যায়।
২০২৪ইং সালের ৭ মার্চ তারিখে স্থানীয় থানায়
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে সুধারাম থানা পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই নাসরিন লুট হওয়া গাছ উদ্ধার করে জব্দ করে। পরে পুলিশের জব্দ করা সেই গাছ গুলোও লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ জান্নাত হোসেন বাদি হয়ে প্রধান অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন (৫০) তার বাহিনীর ইসমাইল (৩৮), শাওন (২৪), সোহান (৩০), মোঃ জাকেরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মোঃ জান্নাত হোসেন ওয়াকফ স্টেটের সম্পত্তি স্বীকার করেন তবে বিল্ডিং নিজের বলে দাবি করেন।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ওয়াকফ স্টেটে হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি লিখিত এজাহার প্রদান করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।