আজাদুর রহমান, বগুড়া।
বগুড়ায় গরু চুরির অভিযোগে ঘড়ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে সদরের সাবগ্রাম বাজারের গোস্ত ব্যাবসায়ী জাহিদুল ইসলাম। তিনি চাঁন্দপাড়া এলাকার আ: মালেক (কশাই)’র ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ ই এপ্রিল রাতে পূর্বের আলোচনায় আকাশতারা এলাকার রাজুর সাথে একটি গরু বিক্রির কথা হয়। ঘটনার রাতে রাজু উত্তর চেলোপাড়ার একজন সহযোগীর মাধ্যম চাঁন্দপাড়ার জাহিদুল ইসলামের কাছে একটি গরু পাঠায়। জাহিদুল তার ব্যাবসায়ীক পার্টনার এর সাথে কথা বলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গরুর গোশত কাটতে যায়। সকালে জানতে পারে তার রাতের কেনা গরুটি চোরাই ছিল। আকাশতারা এলাকার আল-আমিন নামের ব্যাক্তি হারানো গরুটি নিয়ে যায়।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাহিদুলের চাচাত ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে আলিফ সহ ৯ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, দোকান ঘর এবং বাড়ি ভাংচুর করে, বাড়ি ও দোকান ভাঙচুরের কারন জানতে চাইলে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাহিদুলের স্ত্রী রতনা বেগম।
বর্তমানে জাহিদুলের পরিবার খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। জাহিদুলের স্ত্রী রতনা বেগম বলেন, আমার স্বামী হাট- বাজার ও এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু কিনে বাজারে গোসত বিক্রি করে। একটি গরু কিনলে পরে জানতে পারে সেটা চোড়াই গরু। অবশ্য গরুর মালিক গরুটা নিয়ে গেছে, তার কোন অভিযোগ নাই।
প্রতিপক্ষের লোকজন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার স্বামীকে ফাঁসিয়ে আমাদের ঘড়বাড়ি ভাংচুর করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি, এখনো বিচার পাইনি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ মিয়া জানান, যতটুকু শুনেছি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা মিমাংসা করেছে।
সাবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন সরকার ঘটনায় বিবরণ দিয়ে জানান, উভয়পক্ষ নিয়ে বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।