মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ : ১৯/০৫/২০২৫ ইং
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অসময়ে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শাহজাদপুর উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের বেশ কিছু ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই ভয়াবহ ভাঙ্গনে এ সব ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের ফসলি জমি, বাড়িঘর, মসজিদ-মাদ্রাসা, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদীতে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন যমুনাপাড়ের মানুষগুলো। এতে হুমকির মুখে রয়েছে মাদ্রাসা, হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুল সহ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের চর ঠুটিয়া,সোনাতনী ইউনিয়নের ধীতপুর, কুড়সি, বারো পাখিয়া বড় চানতারা, বানতিয়ার, গালা ইউনিয়নের বৃ-হাতকোড়া,ও মোহনপুর গ্রামে যমুনা নদীর প্রায় কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই ফসলে জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় বাড়ি ঘর ফসল জমি সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন বাড়িঘর ও ফসলী জমি কিছু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন আমরা অন্যের জমিতে ঘর তুলে থাকি, এখন এই ঘরবাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে, এই তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পাড় করেছে শাহজাদপুর উপজেলার যমুনাপারের মানুষ গুলো। যমুনাপারের মানুষগুলোর দাবি ভাঙ্গনরোধে এখন দ্রুত বাধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এদিকে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জেরিন আহমেদ বলেন,গত ছয় বছরে এই তিনটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে কমপক্ষে ২৮০ হেক্টর ফসলি জমি নদীতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, শাহজাদপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো আমরা অবজারভেশন করেছি। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আরো জানান, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ চলছে,আশা করছি বাধ নির্মাণ হলে ভাঙ্গন কমে যাবে।